পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి 8 বিবিধ প্রবন্ধ । বিভিন্ন প্রকারের ইংরাজ রাজপুরুষ । ভারতবর্ষ যতদিন ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর অধীন ছিল, ততদিন ইংরাজেরা বলিতেন যে, ভারতবর্ষের লোক সকলকে আত্মশাসনে সক্ষম করিয়া তুলিবার নিমিত্তই আমরা ভারতবর্ষে আছি । ইহার আত্মশাসনে সক্ষম হইয়া উঠিলেই আর আমাদিগকে ইহার শাসন ভার বহন করিতে হুইবে না। কথাটা গোড়াথেকেই মিছা । কিন্তু কথাটার একটা মহৎ গুণ ছিল। ভারতবর্ষের শাসন কাৰ্য্য যে একটা অত্যুচ্চভাব মনে রাথিয়াই করিতে হইবে, ঐ কথাটা দ্বারা তাহ অতি সুন্দর রূপে প্রকাশ পাইত । ভারতবর্ধবাসীকে আত্মশাসনের যোগ্য করিয়া তুলিতে হইবে—সুতরাং (১) ইহাদিগের অন্তর্বিচ্ছেদ বাহা কিছু আছে তাহা মিটাইয়া দিতে হইবে। (২) ইহার যাহতে পরস্পর খাওয়াখায়ি না করে তাহা করিতে হুইবে (৩) ইহার যাহাতে একান্ত ধনহীন হইয়া না পড়ে তাহার উপায় করিয়া চলিতে হইবে (৪) ইহারা যাহাতে কুপমণ্ড কত শূন্ত হয় এবং স্বাধীনভাবে চিন্তা করিতে শিখে তদ্বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করিতে হইৰে—ফলতঃ ভারতবর্ষকে সম্মিলিত, সম্বন্ধ, ধনশালী এবং স্বাধীন প্রকৃতিক করাই ইংরাজ-শাসন প্রণালীর মুখ্য উদেঙ্গ হইবে, ভারতবর্ষ অধিকারে ইংরাজদিগের নিজের লাভ অবাস্তর বিষয় থাকিবে । তখনকার কোন কোন ইংরাজ গ্রন্থকার বলিতেন—দেখ, আমেরিকার ইউনাইটেড় প্রদেশ যতদিন ইংলণ্ডের অধীন ছিল ততদিন ইংলণ্ডের বড় কিছুই লাভ হয় নাই ; ঐ প্রদেশ স্বাধীন সবল এবং ধনশালী হইয় অবধি উছার সহিত ইংলণ্ডের যে বাণিজ্য ৰ্যাপার চলিতেছে তাহতে ইংলণ্ডের সমূহ লাভ হইতেছে। তেমনি ভারতবর্ষ সবল এবং ধনশালী হইলে ইংলণ্ডের যত লাভ, উহা দুৰ্ব্বল এবং অক্ষম অবস্থায় ইংলণ্ডের গলায় পড়৷ হইয়া থাকিলে তত লাভ নাই । কেহ কেহ এরূপও বলিতেন যে, ভারতবর্ষ উহার বর্তমান অবস্থায় ইংলণ্ডের বলবৰ্দ্ধক পদার্থ নহে, উহা ইংলণ্ডের পক্ষে ক্ষতিজনক বস্তু হইয়া আছে । এখন আর ওরূপ কথাসকল শুনা যায় না। মহারাঞ্জীর খাস দখলে আসিয়া অবধি ইংৰাজের কথা বদলাইয়াছেন। ডিউক অব আর্গিলই বোধ হয় ষ্টেট সেক্রেটারী হইয়া সৰ্ব্বপ্রথমে বলেন যে ভারতবর্ষকে আমাদিগের চির-অধীনাবস্থায় রাখাই আমাদিগের রাজ-নীতির সর্বপ্রধান উদেশ্ব। তাহার পর অবধি ঐ ভাবের কথা যার তার মুখে শুনা যাইতেছে। একদিন একটি