পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి: বিবিধ প্রবন্ধ ! ঈশ্বরের স্বরূপ । আর্য্য পণ্ডিতেরা অতি প্রাচীন কাল হইতে ঈশ্বরের স্বরূপতা কিরূপ উপলব্ধ করিয়াছিলেন, তাহা দুইটী বৈদিক মহাবাক্যে স্পষ্টীকৃত হইয়া আছে। তাহার একটা সৰ্ব্বং খন্বিদং ব্ৰহ্মং”—অপরট তত্ত্বমসি’। এই দুইটী মহাবাক্য হইতে যে ভাব প্রকাশিত হয় তাহ যে কেবলমাত্র আর্য্যপণ্ডিতদিগের হৃদয়েই সমুদিত হইয়াছিল, অপর কোন জাতির মধ্যে হয় নাই এমত নহে। সকল জাতির ভাষাতেই ঈশ্বরের একটী নামার্থ “সৰ্ব্ব” । “আল্লা” নামটী মহম্মদের স্বকপোল কল্পিত নহে। উহা আরবদেশে পূৰ্ব্বাবধি প্রচলিত ছিল এবং ‘আকাশ’ ‘স্বৰ্য্য এবং বলশালী’ এই তিনটী অর্থই বুঝাইত। য়িহুদী জাতির মধ্যে যেতোভা" BB BBB S BBBBB BB SBBBBS B SBBB BBS B SBBBBS S BBS দিগের ‘জিউস’ শব্দ ‘আকাশ’ বা ‘ব্যাপকত্ব’ বোধক ৷ চিনীয়দিগের ‘টিয়েন” শব্দ, আকাশ এবং ঈশ্বরবাচক । সংস্কৃত ব্রহ্ম শব্দও ব্যাপকত্ব বুঝায় । খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রচারক সেন্ট পল বলিয়াছেন “ঈশ্বরেই আমাদিগের জীবন, গতি এবং সত্ত্বা’ খৃষ্টধৰ্ম্মের ব্যাখ্যাত সেণ্ট আগষ্টিন ও বলেন “ঈশ্বর এরূপ একটা বৃত্তস্বরূপ যে তাহার কেন্দ্ৰ সৰ্ব্বস্থলে, পরিধি কোথাও নাই ।” অতএব উল্লিখিত “সৰ্ব্বং খন্বিদং ব্ৰহ্ম” এই বৈদিক মহাবাক্যের ভাব কোন না কোন সময়ে সকল জাতির মধ্যেই সমুদিত হইয়াছে সন্দেহ নাই । তবে সকলের মধ্যে যে সমভাবে পরিস্ফুট হয় নাই তাহাও নিঃসন্দেহ । কারণ অপর কোন জাতির মধ্যে সৰ্ব্বং খন্বিদং ব্ৰহ্ম’ এই মূল স্বত্রের বৃত্তিস্বরূপ “তত্ত্বমসি মহাবাক্যের আবির্ভাব এমন স্পষ্টাভিধানে দেখা যায় না । আর্য্য পণ্ডিতদিগের মধ্যেই ‘তত্ত্বমসি স্তানের প্রাদুর্ভাব এবং সেই প্রাদুর্ভাবেই নিশ্বাস প্রশ্বাসের হিংস মন্ত্রাভিধান এবং "সোহং জ্ঞানাভ্যাসের উপদেশ, সমুদয় কার্য্যেই পূজাভাবের সন্নিবেশ, সমাধি যোগের অনুষ্ঠান, নিষ্কামতার প্রশংসা এবং মুক্তির নিমিত্ত অভিলাষ । ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম ও তন্ত্র শাস্ত্র । (>) আমাদিগের দেশের চূড়ামণি স্বরূপ ঐযুক্ত বাবু রাজনারায়ণ বসুজ মহাশয় হিন্দু ধৰ্ম্মের উৎকর্ষ এবং সৰ্ব্বপ্রাধান্ত প্রকটনপূর্বক স্বাভিমত ব্যক্ত করায় অনেকানেক স্বল্পবিদ্য, অপরিণামদর্শী, অনুচিকীৰ্ষাপরায়ণ ব্যক্তিব্যুহের ভ্রমভঞ্জন