পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GnyR विविक्ष क्षिन् । ܫܒܒܝܒܩ rer r আমাদিগের দয়া, মমতা, ভালবাসা, লজ্জা, ভয় প্ৰভৃতির বোধ জন্মে। (৩) ইচ্ছা-যাহা দ্বারা প্ৰণোদিত হইয়া আমরা কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হই। বালকের মনে এই সমস্ত এবং ইহাদের আনুষঙ্গিক বৃত্তিসমূহ অপরিণত অবস্থায় থাকে। এই সমস্ত বৃত্তির সম্যক বিকাশ করাই শিক্ষাদানের প্রধান কাৰ্য্য। এই সমস্ত বৃত্তির কাৰ্য্যের সঙ্গে অন্য বৃত্তির কাৰ্য্য প্ৰায়ই ংসৃষ্ট । যথা-বালক পাখী ধরিবার জন্য ফান্দ পাতিতেছে-এইটী তাহার “বুদ্ধিবৃত্তির’ কাৰ্য্য ; কিন্তু এই কাৰ্য্য করিবার পূর্বে তাহার ঐ কাজ করিতে ইচ্ছা হইয়াছিল, সুতরাং “ইচ্ছাই’ তাহাকে একাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত করিয়াছে । আবার পাখী ধরিতে পারিয়া বা না পারিয়া তাহার যে সুখ বা দুঃখানুভক হয়, তাহ ‘অনুভব” বৃত্তির কাৰ্য্য । কিন্তু যেমন কোন একটী দ্রব্যনিহিত কৃষ্ণত্ব, লঘুত্ব, কঠিনত্ব প্ৰভৃতি গুণ আমরা ভিন্ন ভিন্ন করিয়াও বিচার করিতে পারি, তেমনি মানব মনের বৃত্তি গুলির কাৰ্য্য অনেক সময় পরস্পর সাপেক্ষ হইলেও আমরা পৃথকরূপে তাহাদিগের আলোচনা করিতে পারি। অনুশীলনের দ্বারা যেমন মাংসপেশীসমূহকে যথেষ্টরূপ সবল করিতে পারা যায়, অনুশীলনের দ্বারা সেইরূপ মনের বৃত্তি সমূহকেও যথেষ্ট পরিমাণে উন্নত করা যায়। কিন্তু এই উভয় অনুশীলনেই এক কথা মনে রাখিতে হইবে, বালকের বয়স ও সামর্থ বুঝায়। তাহার শারীরিক ও মানসিক বৃত্তির অনুশীলনের পরিমাণ নির্ণয় করিবে । যে ব্যক্তি আধা মণ বোঝা বহিতে পারে না, তাহার ঘাড়ে দুই মণ বোঝা চাপাইয়া দিলে, যেমন তাহার ঘাড় ভাঙ্গিয়া যাইবে ; সেইরূপ যে বালক বালিচাপল্য প্ৰযুক্ত কোন বিষয়ে অৰ্দ্ধ ঘণ্টার অধিক মনোনিবেশ করিতে পারে না, তাহাকে কোন বিষয়ে দুই ঘণ্টা মনোনিবেশ করিতে হইলে, তাহার অভিনিবেশের ক্ষমতা নষ্ট হইয়া যাইবে । একটু একটু করিয়া সব কাৰ্য্য সহ করাইয়া লইতে হইবে । তাড়াতাড়ি করিতে গেলে সব নষ্ট হইবে ।