পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুশিক্ষাবিষয়ক । లి মনের দুইটী গুণ প্ৰধান-একটী গ্ৰহণ করিবার ক্ষমতা, অপরটি প্ৰদান করিবার ক্ষমতা । মন প্ৰথম ক্ষমতা দ্বারা বাহিরের জ্ঞান, সুখদুঃখ প্রভৃতি গ্ৰহণ করে, দ্বিতীয় ক্ষমতা দ্বারা সেই উপার্জিত জ্ঞান অন্যকে প্ৰদান করে । জ্ঞানেন্দ্ৰিয়ের সাহায্যে আমরা এই বাহিরের জ্ঞান লাভ করি, কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়ের সাহায্যে অন্যকে প্ৰদান করি। যথা-শিক্ষক চক্ষুদ্বারা দর্শন করিয়া, কর্ণের দ্বারা শুনিয়া যে জ্ঞানলাভ করেন, তাঙ্গা তিনি মুখ বা হন্তের দ্বারা অন্যকে দান করিয়া থাকেন । এখন কি কি পৰ্য্যায় অনুসারে আমরা এই বাহিরের জ্ঞানলাভ করিয়া থাকি, তাহাই সংক্ষেপে বিবৃত হইতেছে । প্ৰথম ‘ইন্দ্ৰিয়বোধ”-শিশু তাহার চক্ষু, কৰ্ণ, নাসিক্যাদি। দ্বারা প্ৰথমে দ্রব্যের পরীক্ষা আরম্ভ করে। দ্বিতীয় ‘বস্তুজ্ঞান’-নানা ন্দ্ৰিয়ের দ্বারা বস্তুর নানাবিধ গুণ বুঝিতে চেষ্টা করে । কোন ছেলের হাতে একটা সন্দেশ দিলে, সে সেই সন্দেশটিকে হাতের দ্বারা, চক্ষু দ্বারা, জিহবা দ্বারা পরীক্ষা করিতে থাকে । এইরূপে যখন তাহার সমস্ত ইন্দ্ৰিয়গুলির শক্তি একত্রিত হইয়া ঐ বস্তুতে নিহিত হয়, তখন তাহার ‘বস্তুজ্ঞান” জন্মে। এইরূপে সে একটি একটি করিয়া সকল জিনিস চিনিতে আরম্ভ করে। তারপর “স্কৃতি’-ছোট শিশু যতই বড় হইতে থাকে ততই সে নানা কথা মনে রাখিয়া তাহার শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করিতে আরম্ভ করে । চতুর্থ ‘কল্পনা’-বালক যাহা দেখে নাই, সেরূপ বস্তুর বিষয়ও সে পরিচিত পদার্থের সাহায্যে কল্পনা করিতে শিক্ষা করে । পঞ্চম “চিন্তা” অর্থাৎ কল্পনা বৃত্তির সাহায্যে সেন যে সকল বিষয় ভাবিয়াছে সে সমস্ত প্ৰকৃত কি অপ্ৰকৃত ইহাই চিন্তা করিয়া ঠিক করিতে শেখে । প্ৰধানতঃ এই পাঁচটী উপায়ের স্বারাই আমাদের স্বভাবীদত্ত জ্ঞানের উন্নতি হইয়া থাকে। আবার ঐ সমস্ত মানসিক প্রক্রিয়ার উন্নতি অঙ্গ কয়েকটী মানসিক বৃত্তির উপর নির্ভর করে । (১) মনোযোগ বা অভিনিবেশ (২) বিচারশক্তি (৩) কাৰ্য্যকারণানুসারণী বুদ্ধি। বালক-মুননিহিত এই