পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 दिवि बिन् । using hy সকল অশ্বফুটবৃত্তির বিকাশসাধন কিরূপে করা যাইতে পারে, একে একে তাহার বর্ণনা করা যাইতেছেঃ ইন্দ্ৰিয়বোধ ও বস্তুজ্ঞান (প্ৰত্যক্ষ-জ্ঞান) । আমরা ইন্দ্ৰিয়ের সাহায্যে বহিজগতের জ্ঞান লাভ করি, সেই জন্যই ইতিন্দ্ৰয়াকে জ্ঞানের দ্বার স্বরূপ বলা হইয়া থাকে । চক্ষু ইন্দ্ৰিয়গণের রাজা । চক্ষুর সাহায্যে আমরা সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক জ্ঞানলাভ করি । চক্ষুর পরে কৰ্ণ, তারপর ত্বক, তারপর নাসিকা ও জিহবা । চক্ষু কৰ্ণাদির সহিত সূক্ষ্ম সুন্ন স্নায়ুর দ্বারা মস্তিষ্ক সংযুক্ত। মস্তিষ্কই জ্ঞান উৎপত্তির কেন্দ্ৰ স্থান । আমরা যখন কোন দ্রব্য দেখি তখন আমাদিগের চক্ষুর সম্মুখস্থ পদার্থ হইতে আলোক তরঙ্গ উথিত হইয়া আমাদিগের চক্ষুর পশ্চাৎভাগের অবস্থিত ও মস্তিষ্কের সহিত সংলগ্ন স্নায়ু সমূহকে সঞ্চালিত করে । এই সঞ্চালনেই আমাদের ইন্দ্ৰিয় বোধ হয় অর্থাৎ সেই বস্তু কি পদার্থ তাহা বুঝিতে পারি। মস্তিষ্কের বিকার হইলে চক্ষুর দৃষ্টিশক্তি সত্ত্বেও, দর্শনে কোনই জ্ঞানলাভ হয় না । এইরূপ কণের মধ্যস্থিত পাটহে যখন বাহিরের শব্দ তরঙ্গ প্ৰতিঘাত করে, তখন সেই আঘাতে কৰ্ণ ও মস্তিষ্ক সংলগ্ন স্নায়ুসমূহ সঞ্চালিত হইয়া, কিরূপ বা কোন বস্তু হইতে উখিত শব্দ তাহার জ্ঞান জন্মাষ্টয়া দেয়। কিন্তু যদি আমরা তৎতৎ পদার্থের প্রতি মনোনিবেশ না করি, তবে চক্ষুর সম্মুখে বস্তু ধরিলেও আমাদিগের তাহার জ্ঞান জন্মে না বা কর্ণের নিকট শবদ করিলেও আমরা তাহার উপলব্ধি করিতে পারিন । বালকের চক্ষুর সম্মুখে ঘরের দেওয়াল, দেয়াল সংলগ্ন চিত্ৰাদি ও বোর্ড রহিয়াছে । কিন্তু যখন বালক বোর্ডস্থিত কোন জ্যামিতিক চিত্রের প্রতি অভিনিবেশ করে, তখন বোর্ডেরও সমস্ত অংশ তাহার জ্ঞানের সীমায় আইসে না, দেয়াল ও চিত্ৰাদির কথা দুরে থাকুক। এইরূপ নানা পাখীর গান, মনুষ্য কলরব, বৃক্ষাদির স্বানন প্ৰতিনিয়ত কৰ্ণ কুহুরে প্রবেশ করিয়া কর্ণের পটাহে আঘাত