পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুশিক্ষাবিষয়ক । SO ܒܚܒܝܒܬ ܒܩܚ আবৃত্তি না করাইয়া, লাইনগুলি বিশৃঙ্খল করিয়া দিলে, পদ্য মুখস্থ করা কঠিন হইবে । এক প্ৰণালী অবলম্বন করিলে, ভাবপ্রসঙ্গে একের পর অন্য বিষয় বা শব্দ সহজেই মনোমধ্যে উপস্থিত হইবে । দ্রব্য, প্রতিরূপ ও ক্রিয়া দর্শন করিয়া মনে যে সকল ভাবের উদয় হয়, তাহা বহুকাল স্মরণ থাকে । “একবার লেখা পাঁচবার পড়ার সমান”-কথা যথার্থ। কল্পনা ।-শিক্ষায় এই বৃত্তির অনুশীলন বিশেষ আবশ্যক । জ্ঞাত বিষয়াদির সাহায্যে মনোমধ্যে যে একটা অজ্ঞাত বিষয়ের চিত্র অঙ্কিত করা হয়, তাহাকেই কল্পনা বলে । ইতিহাস, ভূগোলের বিষয়গুলি, বালকগণকে কল্পনার সাহায্যেই উপলব্ধি করাইতে হয়। বাল্যকাল হইতেই এ বৃত্তির স্ফুরণ হইয়া থাকে । “মা আমি একখান অ্যাঙ কাপল নব” ইহার মধ্যেও, সেই ক্ষুদ্র শিশুর কল্পনা শক্তির বেশ পরিচয় পাওয়া যায়। “পুজার সময় আমার মখমলের জামা হইবে।”-পাঁচ বৎসরের বালকের এই বাক্যে যথেষ্ট কল্পনা লুক্কায়িত আছে। তারপর একটু বড় হইলে, বালকেরা যখন বিদ্যালয়ে যাইতে আরম্ভ করে, তখন শিক্ষকের নিকট কত অদ্ভুত জন্তু, বৃক্ষ, জনপদ, মনুষ্য প্রভৃতির গল্প শুনিয়া কল্পনা দ্বারা হৃদয় পটে তাহার চিত্ৰ অঙ্কিত করে । “একটা নদীর বা পৰ্ব্বতের বর্ণনা কর, এক গ্ৰাম হইতে অন্য গ্রামে যাইবার পথের বর্ণনা কর, কোন বাজারের বন্ধুনা কর” ইত্যাদি। প্রশ্নের দ্বারা শিক্ষকগণ বালকের কল্পনা শক্তির বৃদ্ধির সহায়তা করিয়া থাকেন । “স্বভাবের সৌন্দৰ্য্য ও শিল্প সম্পন্ন অদ্ভুত পদার্থের আলোচনা দ্বারা। এবং মহৎ ব্যক্তিগণের অপরিসীম দয়া ও মহত্বসূচক কাৰ্যের বর্ণনা, স্ববিখ্যাত মহানুভবদিগের জীবন চরিত, ইতিহাস কাব্য ও কাল্পনিক?