পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুশিক্ষাবিষয়ক । SS ৬ । শিশুগণ যাহাতে স্বয়ং শিখিতে চেষ্টা করে তাহার উপায় করা কৰ্ত্তব্য । উপদেশ যত অল্প হয় ততই ভাল । যাহাতে শিশু স্বীয় যত্নে জ্ঞাতব্য বিষয়ের অনুসন্ধান করে, কি জিজ্ঞাসা করিয়া লয়, সেই বিষয়ে দৃষ্টি রাখিতে হইবে। উপদেশ ব্যতীত শিশুরা কিছুই শিখিতে পারে না, এই ধারণা ভুল। পাঠশালার শিক্ষিত বিষয় ব্যাতিরিক্ত সহস্ৰ সহস্ৰ ব্যাপার বাহিরে স্বয়ং শিখিয়া থাকে এবং স্বীয় যত্নে সুশিক্ষিত বালকেরা অন্যাযত্নোপদিষ্টদিগের অপেক্ষা অনেকাংশে উৎকৃষ্ট হয় । DBDDD S SK BDuS DDBD SB SBDDD BBBBS DBSDBDD BBDDBB দোষ নহে, আমাদিগের অদুরদর্শিতার ফল । তাহাদিগের বাসনার বিরোধী হইলে ও কেবল আমাদের মনোনীত বিষয়গুলি অধ্যয়ন করাইতে গেলেই ঐ রূপ অমনোযোগিতা জন্মিবে । স্বাভাবিক পথ অবলম্বন করিলে এই অযত্ন ও অমনোযোগিতা কখনই প্ৰাদুভূত হয় না । ৭। শিক্ষা প্ৰণালী উত্তম হইয়াছে কিনা পরীক্ষা করিতে হইলে, শিক্ষাদান কালে যে প্ৰণালী অনুসরণ করা হইয়াছে, বা যে সকল বিষয় শিক্ষা দেওয়া হইয়াছে, তাহতে। শিশুর মনে আনন্দ জন্মিয়াছে কিনা তাহাই লক্ষ্য করিতে হইবে । যদি তাহাতে তাহার আনন্দ না হইয়া থাকে, তবে সে বিষয় বা প্ৰণালী অপকারী । ইহা পরিত্যাগ করিয়া শিশুর হৃদয়গ্ৰাহিণী অন্য কোন প্ৰণালী অবলম্বন করিতে হইবে । আমরা যতই বুদ্ধিমান ও বিদ্বান হই না কেন, স্বাভাবিক পথ পরিত্যাগ করিয়া অনৈসর্গিক মার্গে ধাবিত হইলে কদাচ অভীষ্ট ফল লাভ করিতে সমর্থ হইবন । বালকেরা বস্তুতঃ অলস নাহে । প্ৰকৃতিগত কোন দোষ না থাকিলে, কখনই চুপ করিয়া থাকিতে পারে না এবং নুতন নূতন বিষয় অবগত না হইয়া ক্ষণস্তু থাকেন । অতএব এই স্বাভাবিক ইচ্ছার অনুবন্তী হইয়া জ্ঞানোপদেশ দেওয়াই । সৰ্ব্বতোভাবে বিধেয় । বালকগণের শক্তিসাধ্য বিষয় শিক্ষণ দিলে ।