পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরীরপালনবিষয়ক । 8S r অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি হয়। তার পর আবার অল্প অল্প বৃদ্ধি হইয়া। ১৮ বৎসরেই শেষ হয় । বালক বালিকার স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধির বিষয় শিক্ষা কাৰ্য্যে বিশেষ বিবেচনা করা আবশ্যক ।। ৫ হইতে ১১ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত বিশেষ কোন রূপ ব্যায়ামের ব্যবস্থা না করিলেও চলিতে পারে । কারণ এ সময়ে বাল-স্বভাব-সুলভ-চাঞ্চল্য বশতঃ বালকেরা ছুটাছুটি করিয়া যথেষ্ট পরিমাণ অঙ্গ সঞ্চালনা করিয়া থাকে । ১২ হইতে ১৬ বৎসর ( বালিকার পক্ষে ১০ হইতে ১৩ ) পৰ্য্যন্ত শারীরিক বৃদ্ধির মাত্রার আধিক্য বশতঃ দেহস্থ স্নায়ু, পেশী প্ৰভৃতি অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া থাকে । এ সময়ে বিশেষ সাবধানে ব্যায়ামাদি কাৰ্য্য পরিচালনা করা কৰ্ত্তব্য । সামান্য পরিমাণ সহজ ব্যায়ামাদির অনুশীলন করা যাইতে পারে । কিন্তু এ সময়ে ব্যায়ামের মাত্ৰা অধিক হইলে, উত্তেজিত স্নায়ুপেশী অধিকতর উত্তেজিত হইয়া শীঘ্রই দুর্বল হইয়া পড়িবে। সুতরাং ৱিালক বালিকার শরীর বৃদ্ধির পক্ষে ব্যাঘাত ঘটিৰে । এরূপ দৃষ্টান্তও বিরল নহে। যাহারা এইরূপ বয়সে অত্যধিক মাত্রায় অঙ্গ সঞ্চালন করে তাহারা প্রায়ই খৰ্ব্বাকৃতি হইয়া থাকে। ডাক্তারেরা এ বয়সে বালক বালিকায় বিবাহ দেওয়াকে স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ হানি জনক মনে করিয়া থাকেন । তার পর ১৬ হইতে ২১ পৰ্য্যন্তই ব্যায়াম চর্চার উপযুক্ত কাল ।। ২১ বৎসরের পর যে ব্যায়াম চর্চার আবশ্যকতা নাই তাহা বলিতেছি না । ২১ বৎসর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে अषाम्रन्ा काल । আমরা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করিতেছি বলিয়া, ২১ বৎসরের একটা সীমা নির্দেশ করিয়াছি মাত্ৰ । ཅ ' ' ' ১৩ বৎসর। পৰ্যন্ত বালক ও বালিকার ব্যারাম সম্বন্ধে পৃথক ব্যৱস্থা না করিলেও চলিতে পারে। এ বয়স পৰ্যন্ত ৰালক বালিকার শক্তির: বিশেষ কোনরূপ তারতম্য দেখা যায় না ।. তাৰে : ১৫ বৎসরের পর