পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশুশিক্ষাবিষয়ক । S S ግ (সুৰ্য্য মধ্যস্থানে দাড়াইলে পর, সকলে তাহাকে ঘিরিয়া হাত ধরাধরি করিয়া চক্রাকারে मृङा कब्रेिष्ठ कब्रेिष्ठ )- এক, দুই, তিন, চায়, পাচ আর ছয়, এমুনি করে ঘুরে ঘুরে বড় ঋতু হয় ; গ্রীষ্ম এল, বর্ষা গেল, শরৎ তৎপর, হেমন্ত পারেতে শীত বসন্তে বৎসর । ( এক লাইন হইয়া দর্শকমণ্ডলিকে অভিবাদন করতঃ সকলের প্রস্থান । ) গ্ৰীষ্মকালের ভীষণ তাপ প্ৰকাশের জন্য লাল কাপড়, মেঘের বর্ণ অনেক সময় বেগুনে বলিয়া বর্ষার বেগুনে রঙের কাপড়, শরতের আকাশ নিৰ্ম্মল নীল বলিয়া শরতের নীল কাপড়, হেমন্তে মাঠ শস্যপূর্ণ বলিয়া হেমন্তের সবুজ কাপড়, শীতে গাছের পাতা সমস্ত পাকিয়া হলুদবৰ্ণ হয় বলিয়া শীতের হলুদ কাপড়, বসন্তে নানারূপ লাল হলুদ পুষ্প প্রস্ফুটিত হয় বলিয়া বসন্তে লাল হলুদ মিশ্ৰিত কমলা কাপড়। এইরূপ বস্ত্র পরিধান করিয়া ছয়জনে হাত ধরাধরি করিয়া দাড়াইলে রঙ শিক্ষা দিবারও সুবিধা হইবে । যারপর যে রঙ হওয়া আবশ্যক, এইrবিন্যাসে তাহাই দেখান হইয়াছে । আবার সুৰ্য্য রশ্মিতে এই জয়বৰ্ণ (আসমানী ও নীল এক ধরিয়া) বিদ্যমান । সাদা কাপড় পরিয়া সুৰ্য্য মধ্যে দাড়াইলে, এই ছয় জনের দ্বারা তাহার ছয়বর্ণের রশ্মি প্রকাশিত হইবে । এখানে কেবল কাপড়ের কথাই উল্লিখিত হইল,-অভিনেতৃগণের অন্যান্য সাজগোজ শিক্ষকগণ নিজের পছন্দের মত করিয়া দিবেন। ফুলের মালা, ফুলের মুকুট, ফুলের বলয় প্রভৃতির দ্বারা বসন্তকে সাজাইতে হইবে। আর শরতকে নানাবিধ মূল্যবান বস্ত্ৰালঙ্কারে সাজাইবে । বসন্ত ঋতুরাজ বলিয়া, তাহার কবিতা একটু বড়, এইটী গাইতে পারিলেই ভাল হয় । বালিকা বিদ্যালয়েও এ অভিনয় করান। যাইতে পারে । কোন বালিকা বিদ্যালয়ের জন্যই ইহা রচিত হইয়াছিল । উপকথা -বালকেরা উপকথা শুনিতে যে, বড়ই ভালবাসে, তাহা সকলেই জানেন । সুন্দর সুন্দর উপকথা কেবল যে আনন্দবৰ্দ্ধক তাহা নহে, ইহার দ্বারা বালকগণের ভাষাজ্ঞান জন্মে, তাহাদিগের বর্ণনা-শক্তি বুদ্ধি পায় আর তাহাদিগের চরিত্র-গঠিত হয়। কিন্তু উপকথা তেমন সুন্দরভাবে বলিতে না পারিলে সুখপ্ৰদ হয় না । স্থান বিশেষে স্বর হ্রস্থ, দীর্ঘ করিতে হইবে। আর চোখ, মুখের ও হাতের ভঙ্গী করিতে হইবে অর্থাৎ