পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশুশিক্ষা বিষয়ক । RRG. শিক্ষার সঙ্গে, তাহার উচ্চারণ তাহার লেখা, তাহা দ্বারা সহজ শব্দ নিৰ্ম্মাণ ও সেই শব্দ পঠন শিক্ষা দিতে হইবে । অক্ষর উচ্চারণের ধারা - অক্ষর গুলির উচ্চারণ শিক্ষায় তিনটা ধারা অবলম্বিত হইয়া থাকে, ( ১ ) বর্ণের ধারা ( ২ ) ধবনির ধারা ( ৩ ) শব্দের ধার } (১) বর্ণের ধারা -প্ৰথমে শৃঙ্খলাক্রমে অ, আ, ক, খ প্রভৃতি বর্ণমালার সাধারণ উচ্চারণ শিক্ষা দিয়া, পরে তাহার দ্বারা শব্দ নিৰ্ম্মাণ শিক্ষা দেওয়াকে বর্ণের ধারা বলে । সাধারণতঃ যে প্ৰণালীতে বর্ণমালা শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে, তাহাই বর্ণের ধারা । এই প্ৰণালীষ্ট ভাষা শিক্ষাদানের প্রারম্ভ হইতে এ পৰ্য্যন্ত চলিয়া আসিতেছে । বিশেষ, অন্যান্য প্ৰণালী অপেক্ষা এইটাই সহজ-শিক্ষকের পক্ষেত নিশ্চয়ই । কিন্তু বৈজ্ঞানিক পিচারে দেখা যায় যে এই প্ৰণালীতে বৰ্ণ গুলির প্রকৃত উচ্চারণ শিক্ষা দেওয়া হয় না । আমরা যখন ক, খ, প্ৰভৃতির উচ্চারণ শিক্ষা দান করি তখন প্ৰকৃত ক, খ উচ্চারণ না করিয়া, স্বরযুক্ত ( অযুক্ত ) ক, খ উচ্চারণ করিয়া থাকি । ইহাতে যে দোষ হয় তাহা একটা দৃষ্টাস্তের দ্বারা দেখাইতেছি । ‘বাঁক” উচ্চারণ করিতে আমরা আকার যুক্ত বা উচ্চারণ করিলাম, কিন্তু আকার যুক্ত ‘ক’ ত উচ্চারণ করিলাম না । এখানে কি এর ঠিক উচ্চারণ হইল। কিন্তু কা শিখাইবার সময় আমরা আকার যুক্ত “ক” এর উচ্চারণ শিখাইয়া থাকি । , এইজন্য পণ্ডিতেরা একটা ধবনির ধারা নিৰ্দ্ধারণ কক্লিয়াছেন । (২) ধ্বনির ধারা -স্বরবর্ণের সাহায্য পরিত্যাগ করিয়া, ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণের নিমিত্ত যে ধ্বনি মাত্র করা হয় তাহাকে ধ্বনির ধারা বলে । “আিম” উচ্চারণ করিবার সময়, আমরা প্ৰথমে ওষ্ঠ অধৱ । সংলগ্ন করি, পরে মা এর আকারাংশ উচ্চারণের জন্য আবার ওষ্ঠ্যক্ষায়: বিভিন্ন করি। কিন্তু যদি ম উচ্চারণে আমরা ও উন্নয় বন্ধ করিয়াই আমার , ' 等常 F