পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rët R चिवि क्षिता ।। * বালককে দণ্ডায়মান করাইয়া সমস্বরে পাঠ করাইলে এই লাজুক বালকগণের লজ্জা ভাঙ্গিয়া যায়। লাজুক বালকেরা এইরূপ সমস্বরে পাঠের সময় উপযুক্তরূপে ও উচ্চস্বরে সকলের সহিত আবৃত্তি করিতেছে কি না, এ বিষয়ে শিক্ষককে লক্ষ্য রাখিতে হইবে । কারণ অনেক বালক সমস্বরে পাঠের সময়ও তাহাদিগের লজ্জাশীলতার বশে, মৃদুস্বরে ও অস্পষ্টরূপে আবৃত্তি করিয়া থাকে। } ( ৯ ) বিদ্যালয়ের জন্মদিনে বা পুরস্কার বিতরণ দিনে বা গ্রীষ্মের বন্ধ কি পূজার ছুটীর পূর্ব দিনে, কোন কোন বিদ্যালয়ে সভা হইয়া থাকে । এই সভায় সাধারণের সমক্ষে আবুত্তি করাতে বালকগণের লজ্জা ভাঙ্গিয়া যায় ও উত্তমরূপ আবৃত্তি করিবার একটা আকাজক্ষা 密乙可罪 ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র “কথোপকথনের” অভিনয় করা যাইতে পারে। যোগেন্দ্ৰনাথ বসুকুত “ভারতের মানচিত্র দর্শন” ও শ্ৰীযুক্ত কামিনী রায় কৃত “একলব্যের গুরুদক্ষিণা” বিদ্যালয় অভিনয়ের বিশেষ উপযোগী । ( কিণ্ডারগার্টেন পরিচ্ছেদে আবৃত্তি ও অভিনয়ের অংশ দেখা ) উচ্চশ্রেণীর ছাত্ৰগণ “মেঘনাদ বধের” বা “পলাশীর যুদ্ধের” কোন অংশ অভিনয় করিতে পারে । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কবিতার মধ্যে রবীন্দ্ৰ নাথ, মানকুমারী, গিরীন্দ্ৰ মোহিনী, গোবিন্দ চন্দ্ৰ দাস কৃত গ্ৰন্থাবলীতে যথেষ্ট আবৃত্তির উপযুক্ত কবিতা আছে। কলিকাতার নীতি বিদ্যালয় কর্তৃক প্রচারিত ‘সঙ্গীত মুকুল” নামক পুস্তকে বালকগণের আবৃত্তির উপযোগী অনেকগুলি কবিতা ও সঙ্গীত সংগৃহীত হইয়াছে। উত্তমরূপ ভঙ্গীর সহিত। এগুলি আবৃত্তি করিতে পারিলে বিশেষ গ্ৰীতিপ্ৰদ হইয়া থাকে । ইহা ব্যতীত শিক্ষকের কৰ্ত্তব্য যে, তিনি মধ্যে মধ্যে শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তক ছাড়া অন্য কোন সদগ্রন্থ বালকগণকে পড়িয়া শুনান। শিক্ষককে উত্তমরূপ পাঠক হইতে হইবে । ( ১০ ) শ্রেণীতে পার পর পাঠের যে রীতি আছে, তাহা সুফল প্ৰদ নাহে । প্ৰথম বালক যখন পড়িতে আরম্ভ করে, তখন দ্বিতীয় ৰাখেিলক প্ৰথম বালকের পড়া না শুনিয়া নিজের যে অংশ পড়িতে হইবে, তাহাই আন্দাজ করিয়া মুনে মনে অভ্যাস করিতে থাকে । এইরূপ