পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূগোলেতিহাস বিষয়ক । 49t লাগিয়া থাকিলে, হঁড়ি ঘুৱাইলেও সে পিপীলিকা পড়ে না । এই দৃষ্টান্তের দ্বারাই আপাততঃ বুৰাইয়া দেওয়া যাইতে পারে। জলের ভাগ বেশী, স্থলের ভাগ কম, ইহা বালককে গোলকে দেখাইয়া দাও । অক্ষরেখা দ্রাঘিমা প্ৰভৃতি -একটা বাতৰি লেবুর ( স্থান বিশেষে জাম্বুরা বলে ) বেঁটার দিক দিয়া অপর দিক পৰ্য্যন্ত একটা শলাকা বিদ্ধ কর । পৃথিবীর উত্তর দক্ষিণ দিক দিয়া এইরূপ শলাকা কল্পনা কর । এই কাল্পনিক শলাকাকেই মেরুদণ্ড বলে । শলাকার উপর বাতাবি লেবু ঘুরাইয়া দেখাও, পৃথিবীও এইরূপে ঘুরিতেছে। বিভিন্ন স্থানের দুরতা নির্ণয় করার জন্য গোলকের উপর কতকগুলি দাগ কাটা থাকুে, উত্তর দক্ষিণে লম্বা দাগগুলিকে দ্রাঘিমা ( মাধ্যাহিক রেখা ) আর পূর্ব পশ্চিমে অঙ্কিত সমান্তর রেখাগুলিকে অক্ষরেখা বলে । পুর্ব পশ্চিমে অঙ্কিত রেখাগুলির মধ্যে যেটা ঠিক মধ্যস্থলে তাহাকে বিষুবরেখা বা নিরক্ষবৃত্ত বলে । এই বিষুব রেখাকে ৩৬০ ভাগে ( এক এক ভাগের নাম ডিগ্রি ) "ভাগ করিয়া তাহার মধ্য দিয়া দ্রাঘিমার রেখাগুলি টানা হইয়াছে। বিষুব রেখার নিকট পৃথিবীর পরিধি ২৫০০০ মাইল। তাহা হইলে বিষুব -রেখার উপর ১ডিগ্রি পরিমিত স্থানে ২৫০০০+ ৩৬০ = ৬৯, ৩৯ এত মাইল স্থান আছে। বিবুব রেখার নিকট দুইটী দ্রাঘিমার মধ্যে যতটা ফাক, যতই উত্তরে বা দক্ষিণে যাওয়া যায়, ততই এই ফঁােক কম হইয়া যায়। সুতরাং দুরত্বও কম হইয়া আসে। মেরুর নিকট সব রেখা মিলিয়া গিয়াছে । আবার প্রত্যেক দ্রাঘিমা-রেখাও ৩৬০ ভাগে বিভক্ত হইয়াছে, ও তাহার মধ্য দিয়া অক্ষ বৃত্তগুলি অঙ্কিত হইয়াছে। গ্রীনইচের দ্রাঘিমাকে ০° ধরিয়া অপর সকল দ্রাঘিমা (পুর পশ্চিমে) গণনা করা হয়, ইহাও বলিয়া দিতে হইবে । ৩৬০টীি রেখা টানিলে বড়ই অপরিস্কার দেখায় বলিয়া সাধারণতঃ ৩৬টী রেখা টানা হয় । , , সুতরাং টী দ্রাঘিমায়