পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO दिवि चिक्षतान । l ভাবে রাখা । সামান্য বাখারীর ( কাবারী, কাইম' ) দ্বারা এইরূপ আড় করিলেই হইবে । তবে খুটির বাখারীগুলি যেন ছয় হাতের কম না হয় । ইহাতেও পূর্বের মত পরীক্ষণ করা যাইতে পরিবে । বালকেরা এই আড়গুলি যেরূপ দেখিল তাহা বোর্ডে অঙ্কিত করিয়া দেখাও (৮৫. চিত্র), বুঝাইয়া দাও যে যদি বহুদূৱ পৰ্য্যন্ত এইরূপ আড়া সাজান থাকিত, তবে যেখানে আকাশ ও মাটী মিশিয়াছে, সেই খানে শেষে তাহারাও ছোট হইতে হইতে এক বিন্দুতে পরিণত হইত। এই বিন্দুর নাম “মিলন বিন্দু । আমাদিগের চক্ষুর উপরে যে সকল জিনিষ থাকে তাহা যেন নামিয়া আসে,আর চক্ষুর নীচে যাহা থাকে তাহা যেন উঠিয়া গিয়া মাটী ও আকাশের মিলিত রেখার উপরে মিলিত হয়। এই রেখাকে “চক্ৰবাল রেখা।” ৰলে। সমস্ত মিলন বিন্দু। এই চক্রবাল বা খ রেখাতেই পতিত হইৰুে । , কতকগুলি জুতার খালি বাকস, কি কতকগুলি আস্ত ইট এক লাইন করিয়া সাজাইয়া যাও । বালকগণকে এক প্ৰান্ত হইতে সেই ইটগুলি দেখিতে বল । কি দেখিল ? ইটগুলি ক্ৰমে ছোট হইয়া গিয়াছে । এক পাশে দাড়া করাইয়া দেখাও । পাশগুলিও ক্ৰমে ছোট হইয়া গিয়াছে । এ সমন্ত রেখাকে যদি বাড়াইয়া দেওয়া যায়, তবে সেই চক্ৰৰাল রেখায় গিয়া এক বিন্দুতে মিলিত হইবে । এখন একটা বাকুস লিও । “বালকদিগের সম্মুখে ধর । তাহারা বাক্সের কয় পিঠ এক সঙ্গে দেখিতে পারে, তাহা তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিবে । চক্ষু ঠিক রাখিয়া একবারে একসঙ্গে, তিন পিঠের অধিক দেখা যায় না। তারপর বাক্সটী নানা অবস্থায় ধরিয়া বালকদিগের দ্বারা বোডে বাক্সের চিত্র অঙ্কন করাও । প্ৰথমে বুঝাইয়া দেও যে, বাক্সের পাশের রেখাগুলি বাড়াইয়া দিলে ইহারাও বহুদুরে গিয়া চক্রবাল রেখার এক বিন্দুতে মিলিয়া যাইবে । নিমের চিত্রানুযায়ী, বাক্সের স্থান পরিাৰাক্তন করাইয়া ৰালিকাদিগকে শিক্ষা দাও। :-