পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীতিধৰ্ম্ম বিষয়ক । 80 করিবেন । অল্প বেতনের শিক্ষকের দ্বারা ইষ্ট অপেক্ষা অধিক অনিষ্ট হইয়া থাকে । ছেলে কম পড়ে, সুতরাং অল্প বেতনের একজন যেমন তেমন লোক হইলেই চলিবে-ইহা মারাত্মক বিশ্বাস । যেমন তেমন শিক্ষক পড়া পড়াইতেত পরিবেই না, অধিকন্তু ছেলেটীর মাথা খাইয়া যাইবে । ছোট ছোট ছেলে শিখানই শক্ত । (১২) । বালকগণকে বিলাসী হইতে দিবেন । ভাল জামা, ভাল মোজা, ভাল জুতা পরিব ; আন্তর, ল্যাভেণ্ডার ও সুগন্ধি তৈল মাখিব ; মাথার উপরে নানারকমের সিখি কাটিৰ ইত্যাদি রূপ আবদারের প্রশ্ৰয় দিতে নাই। সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করিতে না দেওয়াই যুক্তিসঙ্গত । অবস্থা বিবেচনায় সাধারণ জামা, মোজা ব্যবহার করিতে দিবে। মাথার চুল-খুব ছোট করিয়া কাটবে। বিলাসিতার সময় নষ্ট হয় ও মনকে কলুষিত করে। (১৩) । আহারাদি সম্বন্ধেও সাবধান হওয়া কৰ্ত্তব্য । আহারের মাত্ৰা বৃদ্ধি করা। কৰ্ত্তব্য নহে । পুত্ৰ এবার এণ্টাস পরীক্ষা দিৰে, অতএব তিন বেলা তাহাকে লুচী মোহনভোগ খাওয়াইতে হইবেভুল ধারণা। স্বল্প আহারেই বুদ্ধি সতেজ হয়। যাহারা অধিক শারীরিক পরিশ্রম করে, তাহদের অধিক আহারের প্রয়োজন বটে । অধিক মিষ্ট বা অন্ন দ্রব্য ভক্ষণে যে কেবল শারীরিক রোগ জন্মে তাহা নহে, বুদ্ধিবৃত্তিও নষ্ট হইয়া যায়। আবার অধিক মিষ্ট দ্রব্যাদি খাইলে, মিষ্ট খাইবার জন্য একটী নেশা হইয়া পড়ে। অনেক বালক শেষে পয়সা চুরি বা দোকানে দেনা করিয়া সম্বন্দেশ খাইতে আরম্ভ করে । , যাহা বলা হইল সে সমস্ত বিষয়ে অভিভাবকের দায়িত্বই অধিক । * শিক্ষকের কৰ্ত্তব্য বিষয়ে ‘সুশাসন” পরিচ্ছেদে অনেক কথা বলা হইয়াছে। বালককে সৰ্ব্বদা কাৰ্য্যে নিযুক্ত রাখাই যে তাহকে চরিত্রবান করার একমাত্র উপায় তাহাও কথিত হইয়াছে। বিদ্যালয়ের নিয়মিত