পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eve বিবিধ বিধান । কোন কোন বিষয় শিক্ষা দিবার সময় কি নিম্ন কি উচ্চ, সকল শ্রেণীর বালককেই বিন্দু দ্বারা ( ৯নং চিত্রে )। চিহ্নিত স্থানে বৃত্তাদ্ধের মত লাইনে দাড় করাইয়া পাঠ দিবার ব্যবস্থা করা উচিত । অঙ্ক, জ্যামিতি, ভূগোল, সহজ ডুইং, পদার্থ পরিচয় প্রভৃতি বিষয়গুলি দেওয়ালে মাপ কি ছবি ঝুলাইয়া বা বোর্ডের নিকট দাড়া করাইয়া শিক্ষা দেওয়া যায়। ডাক নামত, শতকিয়া, কড়াকিয়া প্ৰভৃতি গৃহের বাহিরে, বা বৃষ্টির সময় ভিতরে, এক লাইনে দাড়াইয়া পড়িবে। উচ্চ শ্রেণীর বালকেরা এইরূপ দাড়াইয়া কোন কাৰ্য্য করিবার সময় নিম্ন শ্রেণীর বালকেরা বেঞ্চে বসিয়াও কোন কোন কাৰ্য্য করিতে পারে। এরূপ স্থান পরিবর্তনে বালকগণের বেশ স্মৃত্তি হয় । সময় নির্দেশক পত্র বা রুটিন । শিক্ষকের সুব্যবস্থা বিষয়ক কৃতিত্ব তাহার রুটীনে প্ৰকাশ ! রুটিন প্ৰস্তুত করিতে বুদ্ধি বিবেচনা যথেষ্ট পরিমাণে ব্যয় করিতে হয় । শিক্ষকের সংখ্যা, তাহাদিগের বিষয় বিশেষে পারদর্শিতা, শ্রেণীর সংখ্যা, শ্রেণীস্থ বালকদিগের চরিত্র, পাঠ দানের সময়, পাঠ্য বিষয়ের আধিকা ও কাঠিন্য, দৈনিক কাৰ্য্যের পরিমাণ প্ৰভৃতি বিষয় উত্তমরূপ বিচার করিয়া রুটিন প্ৰস্তুত করিতে হইবে । বিদ্যালয়ের ফলাফল এই রুটীনের উপরই অধিক পরিমাণে নির্ভর করে । রুটীন প্ৰস্তুত বিষয়ে বিশেষ কোনরূপ বাধাবাধি নিয়ম নাই, সমস্তই অবস্থার উপর নির্ভর করে । তবে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি প্ৰতিপালন করিতে পারিলে ভাল হয় :- • (১) রুটিন সাধারণতঃ তিন প্রকারে লিখিত হইয়া থাকে। :-প্ৰথম শিক্ষকগণের জন্য রুটিন অর্থাৎ কোন শিক্ষককে, কোন ঘণ্টায়, কোন শ্রেণীতে কি বিষয় পড়াইতে হইবে। & (এই রুটীনের মন্তব্যের ঘরে প্ৰত্যেক শিক্ষক সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করেন তাহাও লিখিত থাকিবে ) ২য়, কোন শ্রেণীতে কোন ঘণ্টায় কোন শিক্ষক কি পড়াইবেন । ‘’ ( এই