পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুশাসনবিষয়ক । 8 পৰ্য্যন্ত অধ্যাপনা কাৰ্য্য আরম্ভ করেন না, তখন তাহারা কেন দেরী করিবেন ? যদি দুই তিন দিন এরূপ বুঝিতে পারে যে শিক্ষক তাহাদের জন্য অপেক্ষা করেন না, তখন তাহারাও যথাসময়ে উপস্থিত হইতে নিশ্চয়ই চেষ্টা করিবে । কিন্তু ইহার সঙ্গে আরও একটী কথা আছে, বালকেরা যে বিদ্যালয়ে আসিবে তাহার একটা বিশেষ আকর্ষণ চাই । অধ্যাপনায় যদি বালকের আনন্দ লাভ করিয়া থাকে, যদি তাহারা বুঝিয়া থাকে যে বিদ্যালয়ে গেলেই নুতন নুতন আনন্দদায়ক জ্ঞানের কথা শুনিতে পাওয়া যায়, কত নুতন জিনিষ দেখিতে পাওয়া যায়, কত রকমের নুতন খেলা খেলিতে পারা যায়, শিক্ষক দিগের নিকট কত আমোদের গল্প শুনিতে পাওয়া যায়, কত অাদর, কত যত্ন, ভালবাসা পাওয়া যায়, তবে তাহারা সমস্ত ফেলিয়া, এমন কি না খাইয়া পৰ্য্যন্ত বিদ্যালীয়ে চলিয়া আসিবে । বালকের আগ্রহ ও সময়নিষ্ঠা দেখিলে পিতামাতাও তাহার জন্য উপযুক্ত সময়ে আচারের বন্দোবস্ত করিয়া দিবেন। অনেক সময় অভিভাবকেরা শিক্ষকদিগের বিশৃঙ্খল কাৰ্য্য প্ৰণালী দেখিয়া তাহাদিগের বালকগণুের সম্বন্ধে বিশেষ সাবধান হন না । শিক্ষক গ্রামের আদর্শ-জ্ঞান রাজ্যের রাজা । যদি শিক্ষক নিজের গৌরব রক্ষা করিয়া চলিতে পারেন, তবে তঁহার দ্বারা কেবল যে ছাত্ৰ"গণের কল্যাণ হইবে এমন নহে, ছাত্ৰগণের পিতামাতার, এমন কি সমস্ত গ্রামেরই প্ৰভূত উপকার হইবে । বালক দেৱী করিয়া বিদ্যালয়ে আসিলে তাহার বিলম্বের কারণ অনুসন্ধান করিবে, সে কারণ প্ৰকৃত কিনা তাহ নিৰ্দ্ধারণ করিবে ; ৩ দিনের অধিক এই অপরাধ করিলে বিদ্যালয়ে প্ৰবেশ করিতে দিবেন । সময় নাই, অসময় নাই, যখন ইচ্ছা তখন যদি বালকের শ্রেণীতে প্ৰৱেশ করে, তবে অন্য বালকগণেরও মনোযোগ নষ্ট হইয়া যায় । বিশেষরূপ চেষ্টা করিয়া ৱিালকগণের এই কুঅভ্যাস পরিত্যাগ করাইতে হইবে ।