পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€bዎ” বিবিধ বিধান । ঘটিতে পারে। আর এরূপ ঘটিতেও শুনা গিয়াছে। সুতরাং এরূপ শান্তি বর্জনীয় । শারীরিক দণ্ড বিধানের উত্তম প্ৰথা বেত মারা । হাতে ভিন্ন অন্য স্থানে বেত মারিতে নাই । যখন বেত মারিবে, তখন বেশ জোরে দুঘা লাগাইয়া দিবে। যাহাকে মারিবে সে বালক যেন বুঝিতে পারে যে ইহার নাম শান্তি, আর অন্য বালকেরাও যেন বুঝিতে পারে যে এই কাৰ্য্যের এই ফল । কিন্তু এইরূপ বেত মারিবার আবশ্যকতা না হওয়াই বাঞ্ছনীয় । লেখা পড়ায় অমনােযোগিতা বা অপারগতার জন্য বেত মারা কীৰ্ত্তব্য নহে । বিশেষরূপ চরিত্র সংশোধনের নিমিত্তই বেতের ব্যবহার আবশ্যক । এইরূপ বেতমারা প্ৰকাশ্যে কি গোপনে হওয়া উচিত, সে বিষয়ে মতভেদ আছে । আমাদিগের মতে প্ৰকাশ্যে ও গোপনে দুইই আবশ্যক ! দৃষ্টান্ত-শিক্ষককে বা কোন সম্রান্ত ব্যক্তিকে অপমান করিলে তাহাকে প্ৰকাশ্যে বেত মারা উচিত, কিন্তু অশ্লীল ব্যবহার করিলে তাহাকে গোপনে বেত মারা উচিত, কারণ সে অশ্লীল ব্যাপার প্রচার হইলে এই কুফল হয় যে, যে সকল বালক ' সেই সমস্ত অশ্লীল ব্যবহার জানিত না। তাহারাও কৌতুহল পরবশ হইয়া গোপনে সে সকল শিখিতে চেষ্টা করিবে । জরিমানা করার উদ্দেশ্য অভিভাবককে শাস্তি দেওয়া বা বিষয় বিশেষে তাহার মনোযোগ আকর্ষণ করা । বালক দেরিতে আসিলে, অনুপস্থিত হইলে, বেতন দিতে দেরি কমিলে বা সময় মত পাঠ্য পুস্তকাদি সংগ্ৰহ না করিলে জরিমানা করা যাইতে পারে। কারণ এ সকল বালকের অভিভাবকের ক্ৰেট । কোন বালক কুসঙ্গে মিশিয়াছে, কি কুকাজ করিতে আরম্ভ করিয়াছে এরূপ অবস্থায়, আবশ্যক হইলে জরিমানা করিয়া অভিভাবকের মনোযোগ আকর্ষণ করা যাইতে পারে। কিন্তু যেখানে অভিভাবকের সহিত শিক্ষকের প্রায়ই দেখাঁ সাক্ষাৎ হয়