পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓኋም दिदिक्षु विन् । L. YNWilhelm -- তিরস্কারে কষ্ট, পুরস্কারে আনন্দ । আমরা যে কাৰ্যই করি না কেন তাহার মুখ্য ঈদ্দেশ্যই আনন্দ লাভ । সুতরাং সেই আনন্দ সম্মুখে ধারণ কৰিলে বালকগণ কার্যে অগ্রসর হইতে যতদূর উৎসাহিত ও প্রলোভিত হইবে, শান্তির ভয়ে তাহার কিঞ্চিৎ পরিমাণও হইবে কিনা সন্দেহ । একথাও আবার মনে রাখা কৰ্ত্তব্য যে অধিক সুখ্যাক্তি বা পুরস্কারে অনেক বালক আলাদে ও গৰ্ব্বিত হইয়া অধঃপাতে যায় । যেরূপ শাসনে বালকগণ কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ, কাৰ্য্যকুশল, মনোযোগী ও সচরিত্র হয়। সেইরূপ শাসনকেই সুশাসন বলে । শিক্ষাকাৰ্য্য পরিচালনার পক্ষে এরূপ সুশাসন অত্যাবশ্যকীয় । শিক্ষকের শক্তির উপর সুশাসনের ফলাফল নির্ভর করে। } শিক্ষক নিজে সুপণ্ডিত ও সচ্চরিত্র না হইলে শাসনে কোনরূপ ফলোদয় হইবে না । বিশেষতঃ সৎদৃষ্টাস্তের নিৰ্ব্বাক শাসন যেরূপ কাৰ্য্যকারী, শত সহস্ৰ গগণ ভেদী বক্ত, তা গঙ্গার তুলনায় কিছুই নয় । আর একটা কথা বলিয়াই আমরা এ পরিচ্ছেদ শেষ করিব । বিলাতের রগীবী বিদ্যালয়ের ভুতপুৰ্ব্ব প্ৰধান শিক্ষক ज्ठa আরনলন্ড সাহেব ? একবার তাহার বিদ্যালয় ইষ্টতে বহু সংখ্যক ছাত্রকে বহিস্কৃত করিয়া দেন । ছাত্রেরা তাহার আদেশ অমানা করিয়াছিল ও সন্তোর অপলাপ করিয়াছিল । বিদায় কালে তিনি ছাত্ৰগণকে ইহাই বলিয়া , দিলেন যে, “আমি ছাত্ৰগণেৱ ংখ্যা, চাইনা, চরিত্র চাই । ইহাতে আমার স্কুল শূন্য হইলেও আমি তাহা গ্ৰাহা করিব না।” বিদ্যাসাগর মহাশয়ও একবার তাহার মেটোপলিটান কালেজ হইতে 'অনেক বালককে অবাধ্যতার অপরাপে বহিস্কৃত করিয়া দিয়াছিলেন । উচ্চ লক্ষ্য স্থির রাখিয়া সেই দিকে অগ্রসর হইতে হইবে । ছাত্ৰসংখ্যা সংস্থষ্ট অর্থের দিকে দৃষ্টি রাখিলে, সুশাসন চলা অসম্ভব । সুশাসনে ছাত্রসংখ্যা কমিয়া যায় বলিয়া কোন কোন শিক্ষকের ধারণা থাকিতে পারে, কিন্তু সে ধারণা সম্পূৰ্ণ ভুল।