পাতা:বিবিধ সমালোচন (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়).pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যজাতির সূক্ষ্য শিল্প। ›ፄ ভাস্কর্যের ইহা একট প্রধান ধৰ্ম্ম—সৰ্ব্বত্ৰেই ইহার গৌরবের কথা শ্রবণগোচর হয়। পাঠক ! ৰোধ করি আপনি অবগত আছেন যে এইরূপ মুখস্পর্শ ও কোমলগঠন এবং মনোহর অঙ্গবিদ্যাস প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য্যের লক্ষণ । অতএব আপনি শুনিলে আনন্দিত হইবেন যে আর্য্যগণ এই সকল উৎকৃষ্ট লক্ষণ দ্বারা অলঙ্কত করিয়া অধিকাংশ প্রতিমূর্ত্যাদি বিশেষ নৈপুণ্য সহকারে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন ! এই জাতীয় শিল্পের অপর একটা উৎকৃষ্ট ধৰ্ম্ম “ প্রয়োজন সিদ্ধি” অর্থাৎ, শিল্পী পুত্তলিকাদিগকে বে যে কার্ঘ্যে নিয়োজিত করিবার কল্পনা করিয়াছেন দৃষ্টি মাত্রে দর্শকের মনে সেই সেই উদ্দেশ্য-সাধন ভাবের উপলব্ধি হয় । আমি আহলাদের সহিত ব্যক্ত করিতেছি যে অনেক বিখ্যাত ইউরোপীয় পণ্ডিত অস্মদেশীয় পৌরাণিক ভাস্কর্য্যে এই মহদ গুণের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন!” পরে মথুরার বিখ্যাত পুত্তলিকা সকলের বিস্তারিত বর্ণনা করিয়াছেন। অনেকে উই৷ গ্ৰীকশিল্পিনিৰ্ম্মিত সাইলেনসের প্রতিমূৰ্ত্তি বিবেচনা করেন। ক্রমাণি বাকুএ কথার প্রতিবাদ করিয়াছেন।” তিনি বলেন যে উহা হিন্দু শিল্পকরের খোদিত কৃষ্ণলীলা বর্ণন । সাইলেনস নহে—বলরাম। যদি এই ভাস্কৰ্য্য হিন্দু প্রণীত হয়, তবে সে হিন্দু গ্ৰীকদিগের নিকট শিল্প শিক্ষা AAAAAA AAAA SAS A SAS AAASASAAA AAAASASASS

  • গ্ৰীকৃ জাতির মথুরা পৰ্য্যন্ত মাসিয়াছিল, একথা অসম্ভব ৰলিয়াঞ্জীক্ষণি মহাশয় যে আপত্তি করিয়াছেন, তাহা অকিঞ্চিংকর । হণ্টর সাহেব প্রমাণ করিয়াছেন, যে গ্ৰীকজাতীয়ের মধ্য ভারতবর্ষের নানা স্থানে বাস করিত। মহাভাষ্যের বিখ্যাত উদাহরণ “ অরুণৎ যবনে সাকেত্তম্ব,” শ্ৰীমণি মহাশয় কি বিশ্বস্ত হইয়াছেন? যখন গ্রীকেরা অযোধ্য অৰরোধ করিয়ছিল ভখন মথুরায় না আসিবে কেন ?