পাতা:বিবিধ সমালোচন (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ সমালোচন 1, ca সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টিই কাব্যের মুখ্য উদেশ্য। সৌন্দৰ্য্য অর্থে কেবল বাহপ্রকৃতির বা শারীরিক সৌন্দর্য্য নহে। সকল প্রকারের সৌন্দর্য বুঝিতে হুইবেক । যাহা স্বাভাবায়ুকারী নহে,তাহাতে কুসংস্কারাৰিষ্ট লোক ভিন্ন কাহারও মন মুগ্ধ হয় না । এ জন্য স্বভাবাজুকারিতা সৌন্দর্য্যের একটি গুণ মাত্ৰ—শ্বভাবামুকারিভা ছাড়া সৌন্দর্য্য জন্মে না। তবে ষে আমরা স্বভাবানুকারিত এবং সৌন্দর্ঘ্য দুইটি পৃথকৃ গুণ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছি, তাহার কারণ, সৌন্দর্যোর অনেক অর্থ প্রচলিত আছে। আর একটি কথা বুঝাইলেই হয়। এই জগৎ ত সৌন্দৰ্য্যময় —তাহার প্রতিকৃতি মাত্রই সৌন্দৰ্য্যময় হইবে। তবে কেম আমরা উপরে বলিয়াছি যে, যাহা প্রকৃতির প্রতিকুতি মাত্র সে স্থষ্টিতে কবির তাদৃশ গৌরব নাই ? তাহার কারণ,সে কেবল প্রতিকৃতি-অনুলিপি মাত্র—তাহাকে “ কৃষ্টি” বলা যায় না । যাহা সতের প্রতিকৃতি মাত্র নহে—তাহাই স্বষ্টি । যাহা স্বভাবীমুকারী, অথচ স্বভাবাতিরিক্ত, তাছাই কবির প্রশংসনীয় স্বষ্টি । তাহাতেই চিত্ত বিশেষরূপে আকৃষ্ট হয়। যাহা প্রাকৃত,তাহাতে তাদৃশ চিত্ত আকৃষ্ট হয় না। কেন না, তাহ অসম্পূর্ণ, দোষ সংস্পৃষ্ট, পুরাতন, এবং অনেক সময়ে অস্পষ্ট। কবির স্বষ্টি র্তাহার স্বেচ্ছাধীন-সুতরাং সম্পূর্ণ, দোষশূন্য, নবীন, এবং স্পষ্ট হইতে পারে । l এইরূপ যে সৌন্দৰ্য্যস্থষ্টি কবির সর্বপ্রধান গুণ-সেই অভিনব, স্বভাবানুকারী, স্বভাবাতিরিক্ত সৌন্দৰ্য্য স্থষ্টিগুণে, ভারতবর্ষীয় কবিদিগের মধ্যে বাল্মীকি প্রধান। তৎপরেই भशङाब्रडकाप्त्वद्र नाम निकिंडे इहेरद ।। ७क ७क काष्वा श्रेह* স্বল্পবৈচিত্র্য প্রায় জগতে দুর্লভ। • মহাভারতের পর, বোধ হয়, শ্ৰীমদ্ভাগবতের উল্লেখ করিতে