নসমোমা ও আমি ܬ সেই থেকে সান্যাল মশায়ের সঙ্গে ওর ভাব হয়ে গেল । যোগব্যাশিঠের দলে ভিড়ে পড়লো । সানালী-জ্যাঠা বলেন-ছেলেটি শািন্ধসত্ত্ব । শীতের প্রথমে কলপাড়ায় কলেরা দেখা দিল। একদিনে আঠারটার কলেরা হলো, পাঁচটা মরে গেল। নসমোমা কি ভীষণ পরিশ্রম করে সেবা শর, করলে । হরি কলর ছোট ভাই ওর সেবাতেই নাকি বেচে উঠলো। রাত্রে ঘামোয় না। নিজের হাতে রোগীদের গা ও বিছানা পরিস্কার করে । কলেরায় কলপাড়া উজাড় হয়ে গেল-ধরলে কিছর দরে মচিপাড়াকে । ভয়ে তখন মচিপাড়ার অনেক লোক পালিয়েছে। বড়ো হির মচি একদিনের অসখে মারা গেল। কিন্তু তখন এমন ভয় হয়ে গিয়েচে সকলের, মড়া ঘরের মধ্যে পড়ে রইল সারাদিন, কেউ ফেলতে চায় না। সন্ধ্যের পর নসমোমা একা গিয়ে ঠ্যাঙে দাঁড়ি বেধে সেই মড়া ফেলে দিয়ে এল খালের ধারে শামশানে । যোগবশিষ্ঠের আসরে এ কথা শনে আমি উত্তেজিত হয়ে উঠলাম । আমিও যাবো, নসমোমাকে সাহায্য করবো । লোকে যে যা বলে বলক গে। জ্যাঠামশায় হেসে বলেন-মা, এ কাজ তোমার নসমোমার । তোমার জন্যে নয়। সব কাজে অধিকার-ভেদ আছে । -কেন ? আমার অধিকার জন্মায়নি ? --তোমার বড়ো শাশড়ী মরে গিয়েচে, জগতে আরও কি বড়ো-হাবড়া (नये ? --আপনি বলন নসমোমাকে । ও আমাকে নিতে চায় না কোন কাজে । আমি যাবো জ্যাঠামশায় { এই অবস্থায় হঠাৎ একদিন নসমোমা গ্রাম ছেড়ে চলে গেল । কলপাড়ার সবাই হায় হায় করতে লাগলো। খড়শাশড়ী বলেন-ভালোই হলো, চলে গেল, সবন্ধি হয়েচে । বামনের মােখ। অমন করে হাসাতে হয় ? ছিঃ ছিঃ তারপর মািখ টিপে হেসে বলেন-বোমার বাপের বাড়ীর লোক। খব কম্পট হয়েছে বৌমা তোমার-না ? যখন-তখন দেখা হোত তো । অন্য গাঁ থাকতে এ গাঁয়ে এসেছিল। সেজন্যই হয়তো, তব তো দেশের ঘরের লোক আছে dकी । ছিলে-খোলা ধনকের মত সন্টাং সোজা হয়ে বলে উঠি-নিশ্চয়ই। আমার কািট তো হবারই কথা । হাঁর কল একদিন সানালী-জ্যাঠার কাছে বলে-অমন মানৱষ হয় না। ছোট ভাইটা বেচ উঠলো, পায়ে ধরতে গেলাম, বলি তুমি ব্রাহ্মণ, আমার ঘরে হেনস্থা কাজ আর করতে দেবো না। দ’মাসের মাইনে বাকি, একটা পয়সাও নিয়ে গেল না যাবার সময় । হঠাৎ পালিয়ে গেলেন । আমায় যেন ক্ষ্যামা করেন। তিনি । হাত জড়ে সে উদ্দেশে প্ৰণাম করলে।
