পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वि*ा NOVO উঠোনের লঙ্কা গাছ থেকে কোঁচড় ভরে কাঁচা পাকা ঝাল চুরি করেছে প্রায় পোয়াটােক । আর এক দিন আমনি ভিক্ষে করতে এসে, দেখি বাইরের উঠোনের গাছ থেকে একটা পাকা পোপে ভাঙচে । সেদিন কিছ: বলিনি-আজ আর রাগ সামলাতে পারিনি দাদা । মেরেচি এক চড়, আপনার কাছে মিথ্যে বলবো না । --না, খাব অন্যায় করেচ । মেয়েমানষের গায়ে হাত তোলা, ওসব কি ? ইতরের মত কাপড়। ছিঃ—যাও, ওর কি নিয়ে রেখেচ, ফেরত দাও গে যাও । হাজকেও বলিয়া দিলাম, সে যেন আর কোনদিন মধ্য চক্লবতীর বাড়ী ভিক্ষে করিতে না যায়। এই সময় আকাল শহর হইয়া গেল। ধান-চাল বাজারে মেলে না, ভিখারীকে মন্টি-ভিক্ষা দেওয়া বন্ধ । এই সময় একদিন হাজকে দেখিলাম ছেলে কোলে গোয়ালপাড়ার রাস্তায় ভিক্ষা করিয়া বেড়াইতেছে । আমাকে দেখিয়া নিস্কেবাধের মত চাহিয়া বলিল—এই যে জ্যাঠামশায় । যেন মন্ত একটা সংবাদ দিতে অনেকক্ষণ হইতে আমাকে খাজিতেছে। " -এই ! আপনাদের বাড়ীও যাবো । --বেশী। আমাদের বাড়ীতে প্রসাদ পাবি আজ-বাঝলি ? হাজ খাব খাশি। খাইতে পাইলে মেয়েটা খাব খাঁশি হয় জানি । কাঁঠালতলার ছায়ায় রোয়াকে সে যখন খাইতে বসিল, তখন দজনের ভাত তাহার একার পাতে। নিছক খাওয়ার মধ্যে যে কি আনন্দ থাকিতে পারে তাহা জানিতে হইলে হাজার সেদিনকার খাওয়া দেখিতে হয়। স্ত্রীকে বলিয়া দিলাম -একটা মাছটাছ বেশি করে দিয়ে ওকে খাওয়াও । একদিন বোন্টমপাড়ায় হরিদাস বৈরাগীকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমাদের পাড়ার হাজ শবেশরিবাড়ী যায় না কেন ? -ওকে নেয় না। ওর সবামী । —কারণ ? -সে নানান কথা। ও নাকি মস্ত পেটক, চুরি করে। হাঁড়ি থেকে খায় । দধের সর বসবার জো নেই কড়ায়, সব চুরি করে খাবে। তাই তাড়িয়ে দিয়েচে । -dई भक्ष (लाब ? आद्म किश्त ना ? -এই তো শানেচি, আর তো কিছ শনিনি। তারাও ভালো গোরস্ত না । তাহলে কি আর ঘরের বেীকে কেউ তাড়িয়ে দেয় খাওয়ার জন্যে ? তারাও তেমনি । কিছদিন আর হাজকে রাস্তাঘাটে দেখা যায়নি। একদিন তাদের পাড়ার বোস্টম-বোঁ বলিল-শনচেন কাণ্ড ? कि ? —সেই হাজ আমাদের পাড়ায়, সে যে বনগাঁয়ে গিয়ে নাম লিখিয়েচে । আমি দঃখিত হইলাম। এদেশে নাম-লেখানো বলে বেশ্যাবত্তি অবলম্বন