পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S08 বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প করাকে । হাজ অবশেষে পতিতাবত্তি গ্রহণ করিল ! খাব আশ্চয্যের বিষয় নয় এমন কিছ, তব দঃখ হয় গ্রামের মেয়ে বলিয়া। এখানেই এ ব্যাপারের শেষ হইয়া যাইত হয়তো, কারণ গ্রামে সব সময়ে থাকি-ও না, থাকিলেও সকলের খবর সব সময় কানেও আসে না । পঞ্চাশের মন্বন্তর চলিয়া গেল। পথের পাশে এখানে ওখানে আজও দ-একটা কণ্ডকাল দেখা যায়। ত্রিপরা জেলা হইতে আগত বক্তৃক্ষ নিঃস্ব হতভাগ্যেরা পথিবীর বকে চিহ্ন রাখিয়া গিয়াছে। এ জেলায় মন্বন্তরের মতি অত তীব্র ছিল না। যে দেশে ছিল, সে দেশ হইতে নিঃস্ব নরনারী qथान आनिक्षाछिल, आद्ध श्र्शिद्धक्षा याक्ष नाशे । পৌষ মাসের দিন। খাব শীত পড়িয়াছে। মহকুমার শহরে একটা পাঠাগারের বাষিক উৎসব উপলক্ষে গিয়াছি, ফিরিবার পথে একটা গলির মধ্য দিয়া বাজারে আসিয়া উঠিব ভাবিয়া গলির মধ্যে ঢকিয়া কয়েক পদ মাত্র অগ্রসর হইয়াছি, এমন সময়ে কে ডাকিল-ও জ্যাঠামশায় । বলিলাম-কে ? -এই যে আমি আধা অন্ধকার গলিপথে ভাল করিয়া চাহিবার চেন্টা করিলাম। একটা চালাঘরের সামনে পথের ধারে একটি মেয়ে রঙীন কাপড় পরিয়া দাঁড়াইয়া আছে, কাপড়ের রঙ অন্ধকারের সঙ্গে মিশিয়া গিয়াছে, আমি শােধ তাহার মখের আবছায়া আদল ও হাত দটি দেখিতে পাইলাম । কাছে গিয়া বলিলাম-কে ? --বা রে, চিনতে পারলেন না ?-আমি হাজ । হাজ বলিলেও আমার মনে পড়িল না কিছল । বললাম-কে হাজ ? সে হাসিয়া বলিল-আপনাদের গাঁয়ের । বা রে, ভুলে গেলেন ? আমার বাবার নাম রামচরণ বৈরাগী। আমি যে এই শহরে নটী হয়ে আছি । এমন সরে সে শেষের কথাটি বলিল, যেন সে জীবনের পরম সার্থকতা লাভ করিয়াছে এবং সেজন্য সে গব্ব অনভব করে। অথাৎ এত বড় শহরে নটী হইবার সৌভাগ্য কি কম কথা, না যার-তারা ভাগ্যে তা ঘটে? গ্রামের লোক দেখিয়া বাঝােন তার কৃতিত্বের বহরখানা । আমি কিছ: বলিবার পর্বেই সে বলিল-আসন না। দয়া করে আমার घक्र । --না, এখন যেতে পারবো না। সময় নেই । —কেন, কি করবেন ? -वाष्ट्री যাবো । সে আবদারের সরে বলিল-না। আসতেই হবে। পায়ের ধলো দিতেই হবে আমার ঘরে। আসন কি ভাবিয়া তাহার সঙ্গে ঢকিয়া পড়িলাম। তাহার ঘরে । নীচু রোয়াক খড় ছাওয়া, রোয়াক পার হইয়া মাঝারি ধরনের একটি ঘর, ঘরে একখানা নীচু