পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প ܓܠܬܠ --দাও গিয়ে এবার। অনেকদিন যে ভাবচি। বড় শখ। -এই বয়সে ফলন শাড়ী পারলি লোকে ঠাট্টা করবে না ? কথাটা কিঞ্চিৎ রাঢ় হয়ে পড়লো, মনে হলো সিদ্যরচরণের । অলপ বয়সে ওকে দেবার লোক কে ছিল ? আজি বেশি বয়সে সবিধে যখন হলোই তখন অল্পবয়সের সাধটা পণ্য করতে দোষ কি ? তারপর ঘোষেদের দোকান থেকে একখানা ফলন শাড়ী শািন্ধ নয়।--তার সঙ্গে এলো একখানা সবজি রঙের গামছা ! কাতু খাঁশিতে আটখানা। বললে-শাড়ীখানা কি চমৎকার-না ? -খব ভালো। তোর পছন্দ হয়েচে ? --তা পছন্দ হবে না ? যাকে বলে ফলন শাড়ী । --আর গামছাখানা কেমন ? অমন গামছাখানা কখনো দেখিইনি। ও কিন্তু মই ব্যাভার করতি পারবো। না প্ৰাণ ধোরে । তাহালি খারাপ হােয়ে যাবে। -খারাপ হয় আবার কিনে দেবো। আমার হাতে এখন কম ট্যােকা না ! সেদিন কামার-দোকানে বসে তিনকড়ি বনোর মাখে কালীগঞ্জে গঙ্গাস্নান করতে যাবার বক্তান্ত শনলো সিদ্যরচরণ। বাড়ী এসে কাতুকে বললেকাতৃ, তুই থাক, আমি দীদিন দেশ বেড়িয়ে আসি -Çकाश्वाश यादा ? -একদিকে বেড়িয়ে আসি -আমারে নিয়ে যাবা না ? --তুই যাস তো চলা-ভালোই তো দজনে জিনিসপত্র একটা বৌচকাতে বেধে তৈরী হলো। কিন্তু যাবার দিন কাতুর মত বদলে গেল। হঠাৎ । সে বললে—তুমি যাও, আমি যাবো না। গোরটার বাছার হবে এই মাসের মধ্যে। যদি আসতে দেরি হয়, বাছারটা বাঁচবে না। -टूछे श्रावप्न ? —আমার গেলি চলবে কেমন করে ? বাছারটা মরে গেলি সারা বছরটা আর দািধ খেতি হবে না। তুমি যাও, আমি যাবো না। সতরাং সিদ্যরচরণ একই রওনা হলো বোঁচকা নিয়ে। রেলগাড়ীতে সামান্যই চড়েচে সে, একবার কেবল বেনাপোল গিয়েছিল গোেরর হাট দেখতে। --সেই জীবনে একবারমাত্র রেলগাড়ী চড়া। পরের চাকরি করতে সারা জীবন কেটেচে । স্টেশন গিয়ে রেলে চড়ে যেতে হবে । সিদ্যরচরণ কাপড়ের খাটে শক্ত করে গেরো বোধে দখানা দশ টাকার নোট নিয়েচে । কেউটেপাড়ার কাছে পাঁ। বিনোর দো-চালা ঘর রাস্তার ধারে । ওকে দেখে পাচু জিজ্ঞেস করলেসিদ্যরচরণ, কনে চলেচ এত সকালে ? -qकफेद ट्रेष्प्रेशान शावा ।