পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিদ্যরচরণ NSók কাতুকে নানা ছাঁদে গলপ শোনাতে হবে বাড়ী ফিরে । আরও একটা সেন্টশন গেল । পরের সেন্টশনেই বোধ হয়- তার সঙ্গী বললে - নামো, নামো বাহাদরপর । সিদারচরণ বোঁচকা নিয়ে প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়লো। তখন সন্ধ্যা হয়হয় ; সে চেয়ে দেখে-ধধ, মাঠের মধ্যে ছোট্ট স্টেশন-চারিধারে কলকিনারা নেই এমন বড় মাঠ। দরে দরে দ-চারটে তালগাছ, বাঁশবন । সিদারচরণের বকের মধ্যটা হা-হণ করে উঠলো। কোথায় কাতু, কোথায় তাদের মালিপোতা। সব ফেলে সে আজ এ কোথায় কতদাের এসে পড়েচে ! মনে মনে বললে—‘এ্যানধারা বিদেশেও মানষি আসে ! ভগবান, এ তুমি কোথায় নিয়ে ফেললে মোরে ! ওর সঙ্গী বললে-চলো । ও বলে-কনে যাবো ? —মোদের গাঁয়ে চলো । এখেন থেকে দী-কোশ পথ । -न्थक्ष शंका ? —যাবা না তো এখানে থাকিবা কোথায় ? খেতে-ন্দেতে হবে তো ? —কি নাম তোমাদের গাঁ ? --গোয়ালবাথান । নাগরপাড়া । অগত্যা সিদীরচরণ চললো নাগরপাড়া, তার নতুন সঙ্গীর বাড়ী । ক্লোশ দই হটবার পরে এক গাঁয়ে ঢাকবার মখেই ছোট্ট চালাঘর। সেখানে গিয়ে তার বন্ধ বললে-এই মোদের বাড়ী। ভাত-পানি খাও, হাত-মািখ ধোও । সিদ্যরচরণ বললে-ভাত-পানি খাব কি, মই কনে এসে পড়েচি তাই শধ ভাবতি লেগেচি । -কদর আসবা। আবার । -কোথায় ছেলাম। আর কনে আলীম ! উঃ ! এ পিরথিমির কি সীমেমড়ো নেই? হ্যােগা, আর কন্দর আছে। ইন্দিকি ? —আরো তুমি কি পাগল নাকি ? কী বলে আর কী করে !! ল্যাও ভাত*ान्ति थाG । ভাত খেয়ে সিদ্যরচরণ গ্রামের মাঠের দিকে বেড়াতে গেল। বড় বড় মাঠ, দরে তালগাছ । এতবড় মােঠ তাদের দেশে সে কখনো দেখেনি, আর চারিদিকেই আকের খেত। উ-ই কি-একটা গ্রাম দেখা যায়! ওর পরও পিরথিম আছে। ওদিকে ? বাৰবাঃ । একজন লোককে বললে-হাগা, ইদিকে এত আকের চাষ কেন ? -কেন, বেলডাঙায় চিনির কল আছে । আক সেখানে মণ দরে বিকি হয়গো - সব আক ?