পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিদ্যরচরণ N. N. -গগলি । -क छgव ? মেয়েটি সলঙ্গজহাস্যে বললে-খাবো । --কি জাত তোমরা ? -बाठद्धि । --বাড়ী কনে ? মেঘেটি আবার ওর দিকে যেন খানিকটা আশচয্য হয়ে চেয়ে আছে।--তারপর আঙল দিয়ে দরের দিকে দেখিয়ে বললে-নটবরপাের। আর কোন কথা হয় না। মেয়েটা আপন মনে গগেলি তুলতে থাকে। সিদ্যরচরণ বন্ড অন্যমনস্ক হয়ে যায়। কাতুর কথা বড় মনে হয়, আর থাকা যায় না। এ কোন মল্লিক, কতদার, বিদেশে-বিভাই, সেখানে বাউরি বলে জাত বাস করে । কেউ বাপ-পিতোমোর জন্মে শানোচে বাউরি বলে কোনো জাতের কথা, যারা খালে বিলে গগলি তুলে খায় ? ওর মনটা হা-হা করে ওঠে নতুন করে। বকের মধ্যে কী যেন একটা মোচড় খায় । যদি এই বিদেশে মারা যায় ? কাতুর সঙ্গে তাহলে দেখাই হবে না । কাতু সজনে-তলায় গোর বেধে বিচুলি কেটে দিচ্চে, সন্দের পিদিম ঘরেঘরে সবে জবালা শহর হয়েচে, এমন সময় রাস্তা কাঁপিয়ে রব উঠলো-বল, হরি হাঁরবোেল। ব্যাপারটা নতুন নয়-এই পথ দিয়েই দীর দেশের সমস্ত মড়া পোড়াতে নিয়ে যায় কালীগঞ্জের বা চাঁদড়ের গঙ্গাতীরে । কাতুদের পাড়ার কে একজন জিজ্ঞেস করলে-কনেকার মড়া ? --সনেকপাের । —কি জাত হ্যাগিা ? —সনেকপরের বিপিন ঘোষের নাম শনেচ ? তেনার ছেলে । কাতু বিপিন ঘোষের নাম শোনেনি, কিন্তু বড় কািট হলো শানে। কারো জোয়ান ছেলে মারা গেল।--বাপ-মায়ের কী কািট ! এ লোক যে কোথায় গেল। আজ মাসখানেকের ওপর হবে তা কেউ জানে না। খবর-পত্তির কিছই নেই। শিবির মা গাই দইতে এসে দেখলে ও চালাঘরের ছেচতলায় বসে কাঁদচে । শিবির মা অবাক হয়ে বললে-কানচিস কেন রে ? —ম কটা বড় কেমন করচে । --দর! বাছারটা ধরা ! ইন্দিক আয় দিনি ? —একটা মড়া নিয়ে গেল দেখলি ? বিপিন ঘোষের ছেলে । --নিয়ে গেল তা তোর কি ? মর, মাগী ! বাছার ধর । এখনি পিইয়ে যাবে । শিবির মা পাড়ায় গিয়ে রটিয়ে দিলে সিদ্যরচরণ কাতুকে ফেলে পালিয়েচে । আর আসবে না, এতদিন বোঝা গেল। অনেকে সহানভতি দেখালে। কেউ