পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'neNqW5 বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প কথা ইনি কি করে জানলেন ? বিসময়ের সরে বললাম-আপনি আমাদের গাঁয়ের কথা অনেক জানেন দেখছি । সন্ন্যাসী মদ হাসলেন, এমন হাসি শােধ স্নেহময় বন্ধ পিতামহের মখে দেখা যায়, তার অতি তরণ অবোধ পৌত্রের কোন ছেলেমান ষী কথার জন্য। সত্যি বলছি, সে হাসির সমতি আমি এখনও ভুলতে পারিনি, খািব উচু না হ’লে আমন হাসি মানষে হাসতে পারে না। তারপর খাব শান্ত সপোনহ। কৌতুকের সরে বললেন-বাড়ী থেকে বেরিয়েছিস কেন ? ধৰ্ম্মকৰ্ম্মম করবি বলে ? আমি কিছু উত্তর দেবার আগেই তিনি আবার বললেন- বাড়ী ফিরে যা, সংসারধৰ্ম্মম করগে যা ! এ পথ তোর নয়, আমার কথা শোন । বললাম-এমন নিম্ঠর কথা বলবেন না, কিছ হবে না কেন ? আমার সংসারে মন নেই। সংসার ছেড়েই এসেছি । তিনি হেসে বললেন-ওর নাম সংসার ছাড়া নয়। সংসার তুই ছাড়িসনি, ছাড়তে পারবিও না । তুই ছেলেমানষে, নিষেবধি, কিছ বোঝবার বয়েস হয়নি। যা বাড়ি। ষা । মা-বাপের মনে কম্পট দিসনে । কথা শেষ করে তিনি চলে যাচ্ছেন দেখে আমি বললাম-কিন্তু আমাদের গাঁয়ের কথা কি করে জানলেন বলবেন না ? দয়া করে বলেন তিনি কোন কথার উত্তর না দিয়ে জোরে পা ফেলে চলতে লাগলেন-আমিও নাছোড়বান্দা হয়ে তাঁর পিছ নিলাম। খানিক দর গিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আমাকে বললেন-কেন আসছিস ? --আপনাকে ছাড়ব না। আমি কিছ চাইনে, আপনার সঙ্গ চাই । তিনি সাসেনহে বললেন,-আমার সঙ্গে এলে তোর কোন লাভ হবে না, তোকে সংসার করতেই হবে । তোর সাধ্য নেই। অন্য পথে যাবার। যা চলে যা, তোকে আশীৰবাদ করছি, সংসারে তোর উন্নতি হবে । আর সাহস করলাম না। তাঁর অনসরণ করতে । কি একটা শান্তি আমার ইচ্ছাসত্ত্বেও যেন তাঁর পিছনে পিছনে যেতে আমায় বাধা দিলে। দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ পরে সামনের দিকে চেয়ে দেখি তিনি নেই। বৰ্ব্বতে পারলাম না। কোন গলির মধ্যে তিনি ঢকে পড়েছেন বা কোন দিকে গেলেন। প্রসঙ্গক্ৰমে ব'লে নিই, অনেক দিন পরে বাড়ী ফিরে এসে দেশের খাব বন্ধ লোকেদের কাছে খোঁজ নিয়েও রামরােপ সান্যালের কোন হদিস মেলাতে পারলাম না। সান্যালদের বাড়ীর ছেলেছোকরার দল তো কিছই বলতে পারে। না। ওদের এক সরিক জলপাইগাড়িতে ডাকঘরে কাজ করতেন । তিনি পেন্সন নিয়ে সেবার শীতকালে বাড়ী এলেন । কথায় কথায় তাঁকে একদিন প্রশনটি করতে তিনি বললেন,-দেখ, আমার ছেলেবেলায় বড় জ্যাঠামশায়ের কাছে একখানা খাতা দেখেছি, তাতে আমাদের বংশের অনেক কথা লেখা ছিল । বড় জ্যাঠামশায়ের ঐসব সখা ছিল, অনেক কষ্ট করে নানা জায়গায়। হাঁটাহাটি করে বংশের কুলজী যোগাড় করতেন । তাঁর মাখে শকুনেছি চার-পাঁচ