পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నిO বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প কথা ? আমি না ভদ্ৰলোকের ছেলে ? পাগলী আবার মািখ বিকৃত করে বললে-ভদরলোকের ছেলে ! ভান্দরলোকের ছেলে, তবে এপথে এসেছিস কেন রে, ও অলপেয়ে ঘাটের মড়া ? তন্ত্রমন্ত্রের সাধনা ভগদরলোকের ছেলের কাজ নয়-যা গিয়ে কামিজ চাদর পরে হোসে চাকরি করা গিয়ে-বোরো বললাম--তুমি শািন্ধ, রাগই করো। পলিসের হাঙ্গামার কথাটাও ভাবিছ না, আমি যখন ফাঁসি যাব তখন ঠেকাবে কে ? মনে মনে আবার সন্দেহ হলো, না, এ নিতান্তই পাগল, বন্ধ উন্মাদ । এর কাছে শািন্ধ এতদিন সময় নষ্ট করেছি ছাড়া আর কিছ না। তখনই মনে পড়ল পাগলীর মাখে শািন্ধ সংস্কৃত শ্লোক শানেছি, তন্ত্রের কথা শানেছি। সময়ে সময়ে সত্যই এমন কথা বলে যে, ওকে বিদাষী বলে সন্দেহ হয় । সেই দিন থেকে পাগলী আমার ওপর প্রসন্ন হলো। বিকেলে যখন গেলাম, তখন আপনিই ডেকে বললে-আমার রাগ হলে আর জ্ঞান থাকে না, তোকে ও-বেলা গালাগালি দিয়েছি কিছ মনে করিস নে। ভালোই হয়েছে, তুই সাধনা করতে চাসনি। ওসব নিম্ন তন্ত্রের সাধনা, ওতে মানষের কতকগলো। শক্তি লাভ হয়, তাছাড়া আর-কিছ হয় না। दब्लठलाभ-क उछाgद भङ्कि ब्लाख्छ श्श ? পাগলী বললে-পথিবীতে নানারকম জীব আছে তাদের চোখে দেখতে পাওয়া যায় না । মানষে মরে দেহশান্য হলে চোখে দেখা যায় না, আমরা তাদের বলি ভাত । এ ছাড়া আরও অনেক রকম প্রাণী আছে, তাদের বন্ধি মানষের চেয়ে কম, কিন্তু শক্তি বেশি। এদেরও দেখা যায় না। তন্ত্রে এদের ডাকিনী শাঁখিনী এইসব নাম । এরা কখনও মানষ ছিল না, মানষি মরে যেখানে যায়, এরা সেখানকার প্রাণী । মসলমান ফকিরেরা এদের জিন বলে। এদের মধ্যে ভালো মন্দ দই-ই আছে। তন্ত্রসাধনার বলে এদের বশ করা যায়। তখন যা বলা যায় এরা তাই করে । করতেই হবে, না করে উপায় নেই। কিন্তু এদের নিয়ে খেলা করার বিপদ আছে । অসাবধান তুমি যদি হয়েছ, তোমাকে মেরে ফেলতে পারে। অবাক হয়ে ওর কথা শািনছিলাম। এসব কথা আর কখনও শনিনি। এর মত পাগলের মখেই এ-কথা সাজে। আর, যেখানে বসে শােনছি তার পারিপাশি বািক অবস্থাও এই কথার উপযন্ত বটে। গ্রাম্য শমশান, একটা বড় তেতুিল গাছ, আর একদিকে কতকগলো শিমালগাছ। দ-চারদিন আগের একটা চিতার কাঠকয়লা আর একটি কলসী জলের ধারে পড়ে রয়েছে। কোন দিকে লোকজন নেই। অজ্ঞাতসারে আমার গা যেন শিউরে উঠল । পাগলী তখনও বলে যাচ্ছে অনেক সব কথা, অদ্ভুত ধরনের কথা । -এক ধরনের অপদেবতা আছে, তন্ত্রে তাদের বলে হকিনী । তারা অতি ভয়ানক জীব । বন্ধি মানষের চেয়ে অনেক কম, দয়া-মায়া বলে পদার্থ নেই তাদের । পশতুর মত মন । কিন্তু তাদের ক্ষমতা সব চেয়ে বেশি। এরা যেন প্রেতলোকের বাঘ-ভালক । এদের দিয়ে কাজ বেশি হয় বলে যাদের বেশি।