পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারানাথ তান্ত্রিকের গলাপ ン○○。 পাগলী বললে-যা, তোর দৌড় বোঝা গেল। আসন ছেড়ে পালিয়েছিলি font ? আমার শরীর তখন ঝিম ঝিম করছে । বললাম-কিন্তু আমি ওদের দেখেছি। তুমি যে ষোড়শী মহাবিদ্যার কথা दळष्ठ, ऊिनझे धर्माछाळीन् । পাগলী মখ টিপে হেসে বললে—তাই তুই ষোড়শীর রূপে দেখে মন্ত্রজপ ছেড়ে দিলি ? দর, ওসব হাঁকিনীদের মায়া। ওরা সাধনার বাধা, তুই ষোড়শীকে চিনিস না, শ্ৰীষোড়শী সাক্ষাৎ ব্ৰহ্মশক্তি । এবং দেবী ত্ৰ্যক্ষরী তু মহাষোড়শী সন্দেরী । ক’হাদি সাধনা ভিন্ন তিনি তুলট হন না। ক‘হাদি উচ্চতন্ত্রের সাধনা। তুই তার জানিস কি ? ওসব মায়া । আমি সন্দিগধসরে বললাম-তিনি অনেক কথা বলেছিলেন যে ! আর এক বিকটমাত্তি পিশাচীর মত চেহারার নারী দেখেছি। আমার মাথার ঠিক ছিল না ; তার পরেই মনে পড়ল, পাগলীর কথাও কি একটা তার সঙ্গে যেন হয়েছিল--কি সেটা ? পাগলী বললে-তোর ভাগ্য ভালো। শেষকালে যে বিকটমত্তি মেয়ে দেখেছিস, তিনি মহােডমিরী মহাভৈরবী—তুই তাঁর তেজ সহ্য করতে পারলি 6न्-उञानन (छऐछ् उछा*ाँव्न 63न्म ? তারপরে সে হঠাৎ হি-হি ক’রে হেসে উঠে বললে-মািখপোড়া বাঁদর কোথাকার ! উনি দেখা পাবেন ভৈরবীদের। আমি যাদের নাম মাখে আনতে সাহস করিনে-হাকিনীদেব নিয়ে কারবার করি। ওরে অলপেয়ে, তোকে ভেলিংক দেখেয়েছি । তুই তো সব সময় আমার সামনে ব’সে আছিস বটতলায় । কোথায় গিয়েছিলি তুই; সকাল কোথায় এখন, যে, সারারাত সাধনা ক’রে আসন ছেড়ে এলি ! এই তো সবে সন্ধ্যে-!


དཀྱ] 1 আমার চমক ভাঙলো । পাগলী কি ভয়ানক লোক ! সত্যি তো সবেমাত্র সন্ধ্যা হয়-হয় । আমার সব কথা মনে পড়ল। এসেছি ঠিক বিকেল ছটায়। আষাঢ় মাসের দীঘ বেলা । মড়া ডাঙ্গায় তোলা, শবসাধনা, নরকঙ্কাল, ষোড়শী, উড়ন্ত চিল-শকুনির ঝকি,-সব আমার ভ্ৰম !

হতভাবের মত বললাম-কেন এমন ভোলালে ! আর মিথ্যে এত ভয় দেখালে ! পাগলী বললে-তোকে বাজিয়ে নিচ্ছিলাম, তোর মধ্যে সে জিনিস নেই, তোর কৰ্ম্ম নয়। তন্ত্রের সাধনা। তুই আর কোনদিন এখানে আসবার চেষ্টা করবি নে, এলেও আর দেখা পাবি নে । বললাম-একটা কথার শািন্ধ, উত্তর দাও । তুমি তো অসাধারণ শক্তি ধরো। তুমি ভেলিক নিয়ে থাক কেন ? উদ্ধতন্ত্রের সাধনা কর না কেন ? পাগলী এবার একটি গম্ভীর হলো। বললে-তুই সে বঝাব নে।