পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እS8k፥ বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প লিলি কিনলেন ? আপনার তো খাব শখ ছিল লিলির ! এখনও আছে ? আসন, আসন, অন্য কোথাও গিয়ে একটি বসি । ও-মেসটার কোনো খবর আর রাখেন নাকি । আচ্ছা সেই অনাদিবাবা কোথায় গেল খোঁজ রাখেন ? আর সেই ষে মেয়েটি সেন্টভ জবালাতে গিয়ে গা হাত পা পড়িয়ে ফেল্লেী, মনে আছে ? তার বিয়ে হয়েচে ? দজনে গিয়ে একটা চায়ের দোকানে বসলাম । এ-গলপ ও-গালাপ-নানা পরোনো দিনের কথা । তার কথাবাত্তর ভাবে বৰ্ব্বালাম সে কলকাতায় এসেচে অনেক দিন পরে । জিজ্ঞেস করলাম-আজকাল কোথায় থাকো হিমাশ। : সে বল্লে-বি. এন. আর-এর একটা সেন্টশনে বাকিং ক্লাক ছিলাম। টাটানগরের ওদিকে কিছুদিন থাকবার পর দেখলাম জায়গাটিার মাটিতে ভারি চমৎকার ফলে জন্মায়, জমিও সস্তা । সেখানে এখন আছি।--ফজলের বাগান করেচি-তুমি তো জানো বাগানের শাখ আমার চিরকাল । কিছ চাষবাসের জমি নিয়েচি-তাতেই চলে যায় । কিন্তু সে সব থােক-আজ এখন একটা গলপ করি শোনো । গলেপর মত শোনাবে, কিন্তু আসলে সত্যি ঘটনা । আর আশ্চৰ্য্য এই, দশ বছর আগে যখন তোমাদের মেসে থাকতাম তখন এ গলেপার শহর, এবং এর সমাপ্তি ঘটেছে গতকাল । আমি বল্লাম-ব্যাপার কি, তোমার কথা শনে মনে হচ্চে নিশ্চয়ই প্রেমের কাহিনী জড়ানো আছে। এর সঙ্গে ! বলো বলে। সে বল্লে-না, সে সব নয় । অন্য এক ব্যাপার, কিন্তু আমার পক্ষে কোনও প্রণয়কাহিনীর চেয়ে ৩া কম মধ্যর নয় । শোনো বলি। আচ্ছা তোমার মনে আছে-মেসে থাকতে আমি একটা এরিকা পাম, কিনেছিলাম,--আমাদের ঘরের সামনে টবে বসানো ছিল, মনে আছে ? আচ্ছা তা হলে শোনো । তারপর আধঘণ্টা বসে হিমাংশ তার গলাপটা বলে গেল । আমরা আরও দবার চা খেলাম, এক বাক্স সিগারেট পোড়ালাম । বৌবাজারের মোড়ে গিজ জরি ঘড়িটায় সাড়ে নটা যখন বাজল, তখন হিমাংশ গল্প শেষ করে বিদায় নিয়ে 5ल हैं । তার গলপােটা আমি আমার নিজের কথায় বলবো কেননা হিমাংশ সম্পবন্ধে কিছ জানা থাকা দরকার, গলপটা ঠিক বঝতে হলে সেটা আমাকে গোড়াতেই বলে দিতে হবে । হিমাংশ যখন আমার সঙ্গে থাকতো, তখন তার চালচলন দেখলে মনে হবার কথা যে, সে বেশ অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে । সে যে অহারবিহারে বা বেশভাষায় খাব বেশী সৌখীন ছিল তা নয়, তার শখ ছিল নানা ধরনের এবং এই শখের পেছনে সে পয়সা ব্যয় করতো নিতান্তই বেআন্দাজী । তার প্রধান শখ ছিল গাছপালার ও ফলের । আমার ফলের শখটা হিমাংশার কাছ থেকেই পাওয়া একথা বলতে আমার কোন লতাজা নেই। কারণ যত তুচ্ছ, যত অকিঞ্চিংকর জিনিসই হোক না কেন, যেখানে সত্যি কোনো আগ্ৰহ