কিন্নর দল Sలి পারতেন না-চকত্তি গিন্নীর সম্পবন্ধে শান্তির এ কথা মনে হলো। কিন্তু চুপ করে রইল সে । বিকেলে এ-পাড়ার ও-পাড়ার মেয়েরা দলে দলে বোঁ দেখতে এল। অনেকেই বড়েন, এমন রূপসী মেয়ে তারা কখনো দেখে নি ; কেবল হরিচরণ রায়ের সত্ৰ । বলেন, আর বছর তারকেশবরে যাবার সময় ব্যান্ডেল সেন্টশনে তিনি একটি বেী দেখেছিলেন, সেটি এর চেয়েও রপসী । মেয়ে-মজলিসে পরদিন আলোচনার একমাত্র বিষয় দাঁড়ালো শ্ৰীপতির বোঁ । দেখা গেল তার রােপ সম্পবন্ধে দ-মত নেই সভ্যাদের মধ্যে, কিন্তু তার চরিত্র সম্পবন্ধে নানারকম মশতব্য অবাধে চলচে । -ধরণ-ধারণ যেন কেমন কেমন-অত সাজগোজ কেন রে বাপ ? --ভাল ঘরের মেয়ে নয় । দেখলেই বোঝা যায়--বাসন মাজতে হলে ও-হাত আর বেশীদিন অতি সাদাও থাকবে না, নরমও থাকবে না-ঠ্যােলা বঝবেন পাড়াগায়ের । গলায় নেকলেস ঝালাতে আমরাও জানি --বেশ একট, ঠ্যাকারে । পাড়াগাঁয়েয় মাটিতে যেন গমরে পা পড়ছে না, এমনি ভাব । বামনের ঘরে বিয়ে হয়ে ভাবছে যেন কি --তা তো হবেই, বন্দির বামনের মেয়ে, বামনের ঘরে এসেছে, ওর সাতপরায্যের সৌভাগ্যি না ? নবাবধাের সর্বপক্ষে বল্লে কেবল শাণিত ও কমলা । শান্তি ঝাঁজের সঙ্গে বল্লেতোমরা কারো ভাল দেখতে পার না বাপ ! কেন ওসব বলবে। একজন ভদরঘরের মেয়ের সম্বন্ধে ? কাল বিকেলে আমি গিয়ে কতক্ষণ ছিলাম নতুন বৌয়ের কাছে। কোনো ঠ্যাকার নেই, অংখ্যার নেই, চমৎকার মেয়ে ! কমলা বল্লে-আমাদের উঠতে দেয় না কিছতেই-কত গল্প করলে, খাবার খেতে দিলে, চা করলে—আর খাব সাজগোজ কি করে ? সাদাসিদে শাড়ী সেমিজ পরে তো ছিল । তবে খর্ব ফস কাপড়-চোপড়-ময়লা একেবারে দাঁচোখে দেখতে পারে না শান্তি বল্লেী-ঘরগলো। এরই মধ্যে কি চমৎকার সাজিয়েছে ! আয়না, পিকচার, দোপাটিফলের তোড়া বেধে ফলদানিতে রেখে দিয়েছেশ্ৰীপতিদা’র বাপের জন্মে কখনো অমান সাজানো ঘরদোরে বাস করে নি-ভারি ফিটফাট গোছালো বৌটি দিন দাই পরে ডোবার ঘাটে নববধকে একরাশ বাসন নিয়ে নামতে দেখে সকলে অবাক হয়ে গেল। চারিদিকে বনে ঘেরা ঝািপসি আধা-অন্ধকার ডোবাটা যেন মেয়েটির স্নিগধ রাপের প্রভায় এক মহত্তে আলো হয়ে ওঠে, একথা। যারা তখন ডোবার অন্যান্য ঘাটে ছিল, সবাই মনে মনে স্বীকার করলে। দশ্যটাও যেন অভিনব ঠেকলো সকলের কাছে, এমন একটা পচা এদো জঙ্গলে ভরা পাড়াগাঁয়ে ডোবার ঘাটে সাধারণত কালোকালো আধা-ময়লা শাড়ী পরা শ্ৰীহীনা। ঝি-বোঁ বা ত্রিকালোত্তীণা প্রৌঢ়া বিধবাদের গামছাপরিহিতা মাত্তিই দেখা
