NA 8 বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প লঙ্কজা করে না। এ-পাড়া সে-পাড়া ক’রে বেড়াতে । বিয়ে হলে যে চার ছেলের মা হতে ? খাওয়ার নামে আর জ্ঞান থাকে না, না ?--**কোথায় শাক, কোথায় বেগন ; আর একজন বেড়াচ্ছেন-কোথায় রস, কোথায় ছাই, কোথায় পাঁশ--- ফেল বলছি ওসব • ফেল । মেয়েটি শান্ত অথচ ভয় মিশ্রিত দন্টিতে মার দিকে চাহিয়া হাতের বাঁধন আলগা করিয়া দিল, পাই শাকের বোঝা মাটিতে পড়িয়া গেল। অন্নপণা বকিয়া চলিলেন-যা তো রাধী, ও আপদগলো টেনে খিড়কীর পকুরের ধারে ফেলে দিয়ে আয় তো • ফের। যদি বাড়ীর বার হতে দেখেছি, তবে ঠ্যাং খোঁড়া না। বোঝা মাটিতে পড়িয়া গিয়াছিল। ছোট মেয়েটি কলের পতুলের মতন সেগলি তুলিয়া লইয়া খিড়কী অভিমখে চলিল, কিন্তু ছোট মেয়ে অত বড় বোঝা অাঁকড়াইতে পারিল না, অনেকগলি ডাটা এদিকে ওদিকে ঝলিতে ঝলিতে চলিল। ‘সহায়হাঁরর ছেলেমেয়েরা তাহদের মাকে অত্যন্ত ভয় করিত । সহায়হাঁর আমতা আমতা করিয়া বলিতে গেলেন—তা এনেছে ছেলেমানষে পাইশাকের বোঝা লইয়া যাইতে যাইতে ছোট মেয়েটি ফিরিয়া দাঁড়াইয়া মা’র মাখের দিকে চাইল । অন্নপণা তাহার দিকে চাহিয়া বলিলেন-না নষ্ট নিয়ে যা, খেতে হবে না-মেয়েমানষের আবার অত নোলা কিসের !! একপাড়া থেকে আর একপাড়ায় নিয়ে আসবে দটো পাকা পাইশাক ভিক্ষে ক'রে ! যা, যা --তুই যা, দর ক'রে বনে দিয়ে আয় সহায়হাঁর বড় মেয়ের মাখের দিকে চাহিয়া দেখিলেন, তাহার চোখ দ’টা জলে ভরিয়া আসিয়াছে । তাঁর মনে বড় কািট হইল। কিন্তু মেয়ের যতই সাধের জিনিস হোক, পাই শাকের পক্ষাবলম্পাবন করিয়া দপারবেলা সন্ত্রীকে চটাইতে তিনি আদৌ সাহসী হইলেন না-নিঃশব্দে খিড়িকী দোর দিয়া বাহির হইয়া ढन्गा ! বসিয়া রাধিতে রাধিতে বড় মেয়ের মাখের কাতর দন্টি সমরণে পড়িবার সঙ্গে সঙ্গে অষপণার মনে পড়িল-গত অরন্ধনের পদ্ধবন্দিন বাড়ীতে পাইশাক রান্নার সময় ক্ষেন্তি আবদার করিয়া বলিয়াছিল-মা, অদ্ধে কগালো কিন্তু একা আমার, অর্ধেক সব মিলে তোমাদের* * * বাড়ীতে কেহ ছিল না, তিনি নিজে গিয়া উঠানের ও খিড়কী দোরের আশেপাশে যে ডাঁটা পড়িয়াছিল, সেগলি কুড়াইয়া লইয়া আসিলেন-বাকিগলা কুড়ানো যায় না, ডোবার ধারের ছাই-গাদায় ফেলিয়া দিয়াছে । কুচো চিংড়ি দিয়া এইরূপে চুপিচুপিই পাইশাকের তরকারী রাঁধিলেন । দপারবেলা ক্ষেনিত পাতে পাইশাকের চচ্চড়ি দেখিয়া বিস্ময় ও আনন্দপণ ডাগর চোখে মায়ের দিকে ভয়ে ভয়ে চাহিল। দ-এক বার এদিকে ওদিকে ঘরিয়া আসিতেই অন্নপণা দেখিলেন উক্ত পাইশাকের একটি করাও তাহার
