পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S বিভতিভাষণের শ্রেষ্ঠ গল্প যাওয়া যাবে । বাসা ঠিক হয়ে গেল তখনি । বেশি পরিৎকার করতে হলো না-কিন্তু ঘরের মেজেতে গোটকতক গত্তি দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল । এই বিষাকালে গৰ্ত্ত যেখানে থাকে, সেখানে বিষাক্ত সপোের আন্ডা। কি করা যায় ? আমার সঙ্গী বল্লেন, আত ভয় পাবেন না । রান্না তো শেষ করি আগে । মঙ্গল টািড় বলে একজন সাঁওতালের সঙ্গে কাঠের কথা বলতে সে কাঠ এনে দিতে রাজী হলো। চার পয়সা মাত্ৰ চুক্তি-আমাদের রান্নার সব কাঠ এনে দেবে । সে-ই বল্লে-কোন ঘরে রান্না করচিস তুরা ? -्ान्द्र । SYB BB S gB DBD S DBDDBDD DBDDBB BBSDBDBB BBDD DLDDD ঘাটোয়াল সাহেবের বাংলো খোলা থাকে । নিয়ে যাবো। চল, সেখানে । মঙ্গল টািড় আমাদের কাঠ ও জল এনে দিয়ে রান্নায় সাহায্য করলে । ঘাটোয়ালী বাংলোয় আমরা গেলাম রান্না-খাওয়ার পরে। তখন সন্ধ্যে হওয়ার পর ঘণ্টা-দাই কেটে গিয়েছিল। ঘাটোয়ালী বাংলোটি খড়ের ঘর বটে। কিন্তু সিমেণ্টের মেজে, চেয়ার টেবিল খাটিয়া সব সাজানো আছে, এমন কি জানালায় দরজায় পদাঁ পৰ্য্যন্ত। শিমল শালের ঘাটোয়ালী জমিদার গবণমেন্ট বনবিভাগের উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মমচারীদের বাসের জন্যে এই বাংলোঘর করে দিয়েচেন এবং তাঁর খরচে এটার মেরামত, পরিস্কার ইত্যাদি চাল রেখেছেন-দয়া করে নয়, ঘাটোয়ালী আইন অনসারে বাধ্য হয়ে । আমরা গবৰ্ণমেণ্টের কলমচারী নই বটে। কিন্তু বাঙালী ভদ্রলোক --সতরাং সাত খােন মাপ। চৌকিদার তখনি সেলাম বাজিয়ে ঘর খালে निएब्न । এইবার সাধজির সঙ্গে দেখা করতে যাবার জন্যে আমরা বেরলাম । মঙ্গল টডু আমাদের সঙ্গে ছিল, সে আমাদের জানালে, সাধ, খাব বড় । মৌন থাকেন। দিনে । রাত্ৰে কথা বলেন । সাধ দেখে বিস্মিত হলাম। প্রায় সত্তরের কাছাকাছি বয়স হবে, আবক্ষবিলম্বিত শোবত শিমশ্র, গলায় তুলসীর মালা, হাল্টিপলট নাদাস-নদাস দেহ, পিতৃস্নেহভরা শান্ত বড় বড় চোখদটি । বাঙালি সাধ, মানভীম জেলায় বাড়ী ছিল । সতেরো বছর বয়স থেকে উদাসী, গহত্যাগী। সব খোলাখালি বল্লেন আমাদের কাছে। সাধসলভ গবের অস্পষ্টতা নেই তাঁর । সাধাজি বসে ছিলেন একটা সপ্রাচীন বিশাল শালতরর গাড়ি ঘেষে খাব বড় ও চওড়া একখানা মসণ শিলাখন্ডের ওপর। শক্রিা নবমী তিথির জ্যোৎস্না ডালপালার ফাঁকে ওর আসনে এসে পড়েচে । কুশল পাহাড়ীর শৈলশ্রেণী ভৈরব থানকে চারিদিকে ঘিয়েচে । বাহ পরাতন পাথরের চাই। সব যেন এখানে সপ্রাচীন-প্রাচীন সাধ, প্রাচীন শালব্যক্ষ, প্রাচীন শিলাসন, প্রাচীন অরণ্যভমি। মনে হলো এ পরিবেশ ছেড়ে আর কোথাও যাচ্চি নে, থেকে যাই