পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশল পাহাড়ী । ܬܐܶܐܬ এখানেই। ঋষি, সাধ, প্রবস্তাদের জ্যোতিবাহিনী এখানেই, এ জিনিস আর কোথাও পাবো না-সন্দরগড় রাজ্যের এই সদর বনভমিতে যে বন্ধ, পিতৃবং স্নেহশীল, ব্ৰহ্মজ্ঞ ঋষির পদমলে এসে আজ পৌছেচি, তিনিই মনে শান্তি এনে দেবেন। পথেঘাটে এ দলভ জিনিসের সন্ধান মেলে না। আরো মগধ হলাম। যখন সাধাজি। ঈশোপনিষদের একটা শেলাক উচ্চারণ করে তার ব্যাখ্যা করতে লাগলেন । বার বার বলতে লাগলেন, “কবিমনীষী পরিভাঃ স্বয়ম্ভঃ”। শেলাকটির মধ্যেকার 'কবি' কথাটার অর্থ-বন্ধ। সাধবে মথের সেই মধ্যর গম্ভীর বাণী আজও কানে বাজচে ৪ "কবিই তিনি বটেন বাবা । এখানে বসে বসে দেখি । এই শালগাছটাতে ফল ফোটে, বিষাকালে পাহাড়ে ময়র ডাকে, ঝণা দিয়ে জল বয়ে যায়, তখন ভাবি কবিই বটে তিনি । আমি কিহু, পাইনি বাবা। ভড়ং দেখচো, এ সব বাইরের । ভেতরের জ্ঞান কিছদ হয়নি । তবে দেখতে চেয়েচি তাঁকে । তাঁর এই কবিরােপ দেখে। ধন্য হয়েচি ।” এসব বছর সাতেক আগেকার কথা । আবার কলকাতা শহরে দ্য বেলা নিয়মিত অফিস করাচি । অর্থের সচ্ছলতা এমন নেই যে যখন-তখন বা প্রতি বৎসর বেরিয়ে যাবো বেড়াতে । সেদিন একটা পাটিতে গিয়েছিলাম । বড়লোকের বাড়ীর পাটি । অনেক বড়লোকের আনাগোনা দেখলাম-ক্লাইসালার হাঁকিয়ে, বাইক, হাঁকিয়ে, মিনাভা হাঁকিয়ে । বেশ সন্দের সব চেহারা, কেতাদরাস্ত সাজগোজ । কিন্তু এত শিক্ষিত ও সম্প্রান্ত অবস্থাপন্ন লোকের সম্মেলনে সেদিন যা আশা করে গিয়েছিলাম, তা পেলাম। কই ? শািন্ধই শািনলাম। বৈষয়িক কথাবাত্তা। (FNF 3 --দেওঘরের বাড়ীটাতে এবার যাওয়া হলো না । বড় ছেলের ইচ্ছে, আরো কিছ ফাণিাচার কিনে পাঠিয়ে দিলাম । কেউ গেল না। গতবার, এবারও না । ওটা আর রাখবো না। আমার তো নিজের সময়ই নেই যাওয়ার । ছেলেরাও যেতে চায় না। বিষণলাল দালাল চল্লিশ হাজার দর দিয়েছিল মাচ্চ মাসে । আমার স্ত্রীর ইচ্ছে নয় বাড়ী বেচি। অথচ যাওয়াও হয় না। আপনার রিজেন্ট পাকের জমিটাতে কিছু করলেন ? -হ্যা। প্ল্যান স্যাংশন করতে দেওয়া হয়েচে । আশি হাজারের ওপর এসিটমেট দিয়েচে বাগচি। ওরাই করবে। পি. ঘোষালের বাড়ীটা তো বাগচি। করলো-চমৎকার করেচে। অথবা ঃ -ইলেকশনের আগে এইসব মজার শ্রমিকের গোলমাল কেমন মনে করেন ? —ভালো না । সব জায়গায় চলচে । যে সব পাটি মনে ভাবনে এদের সপক্ষে যাবে না, ইলেকশনের সময় তাদের মশকিলে পড়তে হবে । -সে তো বোঝাই যাচ্চে । ইলেকশনের আগে দেশের মধ্যে বিরোধ