পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষির দল RNS ख्वास्त्रका कहad5 । শান্তি কিছতেই ছাড়তে চায় না। ওকে। বলে, তুমি কোথাও যেও না বৌদিদি, আমি মরে যাবো, এখানে তিস্ঠাতে পারবো না। শান্তি আজকাল শ্রীপতির বৌয়ের কাছে গান শেখে, গলা মন্দ নয় এবং এদিকে খানিকটা গণ। থাকায় সে এরই মধ্যে বেশ শিখে ফেলেচে । কিছু কিছ: বাজাতেও শিখেচে । গান বাজনায় আজকাল তার ভারি উৎসাহ । শ্রীপতির বোঁ তো গান বাজনা যদি পেয়েছে, আর বড় একটা কিছ: চায় না, শান্তির সঙ্গীতশিক্ষা নিয়েই সে সব সময় মহাব্যস্ত । অগ্রহায়ণ মাসের দিকে বৌয়ের বাড়ী থেকে চিঠি এল রুমা কি হয়ে হঠাৎ মারা গিয়েছে। শ্রীপতি কলকাতা থেকে সংবাদটা নিয়ে এল। শ্রীপতির বেী খব কান্নাকাটি করলে। পাড়াসদ্ধ সবাই চোখের জল ফেললে ওকে সান্ত্বনা দিতে এসে । শান্তি সব সময় বৌদির কাছে কাছে থাকে আজকাল । তাকে একদিন শ্রীপতির বেী বল্লে—জানিস, শান্তি, আমাদের কিন্নরের দল ভাঙতে শহর করেছে, রমাকে দিয়ে আরম্ভ হয়েছে, আমার মন যেন বলছে শান্তির বকের ভিতরটা ছাৎ করে উঠলো, ধমক দিয়ে বল্লে-থাকা ওসব, কি যে বল বৌদি । কিন্তু শ্রীপতির বৌয়ের কথাই খাটলো । সে ঠিকই বলেছিল, শান্তি ঠাকুর ঝি, কিন্নরের দলে ভাঙন ধরেছে। রামার পাবে ফালগন মাসের দিকে গেল পিণ্ট, বসন্ত রোগে । তার আগেই শ্রীপতির বেী মাঘ মাসে বাপের বাড়ী গিয়েছিল, শ্রাবণ মাসের প্রথমে প্রসব করতে গিয়ে সেও গেল । এ সংবাদ গ্রামে যখন এল, শান্তি তখন সেখানে ছিল না, সেই বোশেখ মাসে তার বিবাহ হওয়াতে সে তখন ছিল মেটিরি বাণপাের, ওর শব্বশরবাড়ীতে । গ্রামের অন্য অন্য সবাই শনলে, অনাত্মীয়ের মাতুতে খাঁটি অকৃত্রিম শোক এরকম এর আগে কখনো এ গাঁয়ে করতে দেখা যায় নি। রায় গিন্নী, চঙ্কত্তি গিল্পী, শান্তির মা, মণ্টর মা কেন্দে ভাসিয়ে দিলেন। মেয়েটি কোথা থেকে দদিনের জন্য এসে তার গানের সরের প্রভাবে সকলের অকারণে কুটিল ভাবে পরিবত্তন এনে দিয়েছিল, সে পরিবত্তন যে কতখানি, এই সময়ে গাঁয়ের মেয়েদের দেখলে বোঝা যেতো। ওদের চক্কত্তি বাড়ীর দপারবেলার অ্যান্ডায়, সন্নানের ঘাটে শ্রীপতির বৌয়ের কথা ছাড়া অন্য কথা ছিল না। চক্কত্তি গিন্নী শোক পেয়েছিলেন সকলের চেয়ে বেশী । শ্রীপতির বৌয়ের কথা উঠলেই তিনি চোখের জল সামলাতে পারতেন না। বলতেন দশদিনের জন্যে এসে মা আমার কি মায়াই দেখিয়ে গেল । আমার পেটের মেয়ে আমন ককখনো করে নি" ,আহা। আমার পোড়া কপাল, সে কখনো এ কপালে টোকে ।