পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গলপ মণটর মা বলতেন, সে কি আর মানষে ! দেবী-অংশে ওসব মানষি জন্মায় । নিজের মাখে বলতো হেসে হেসে, “আমরা কিন্নরের দল খড়িমা’, শাপন্দ্ৰন্ট কিন্নরীই তো ছিল-- যেমন রােপ, তেমনি সর্বভাব, তেমনি গান - ওকি আর ग्रान्श, भा ? কথা বলতে বলতে মশািটর মার চোখ দিয়ে ঝরে ঝর করে জল পড়তো । এসবের মধ্যে কেবল কথা বলতো না শান্তি । তার বিবাহিত জীবন খাব সখের হয় নি, ভেবেছিল বাপের বাড়ী এসে বৌদিদির সঙ্গে অনেকখানি জবালা জড়োবে। পিজোর পরে কাত্তিক মাসের প্রথমে বাপের বাড়ী এলে সে সব শানেছিল । বৌদিদি যে তার জীবন থেকে কতখানি হরণ করে নিয়ে গিয়েছে, তা এরা কেউ জানে না । মাখে সে-সব পাঁচজনের সামনে ভ্যাজ্যভ্যাজ করে বলে লাভ কি ? কি বঝবে লোকে ? বছর দই পরে একদিনের কথা । গাঁয়ের মধ্যে শ্রীপতির বৌয়ের কথা অনেকটা চাপা পড়ে গিয়েছে । শ্রীপতি ও অনেকদিন পরে আবার গ্রামের বাড়ীতে যাওয়া-আসা করছে শনিবারে কিংবা ছাটি-ছাটাতে । শ্ৰীপতিদের বাড়ী থেকে শান্তিদের বাড়ী বেশী দীর নয়, দ’খানা বাড়ীর পরেই। শান্তি তখন এখানেই ছিল। অনেক রাত্রে সে শনলে শ্রীপতিদাদাদের বাড়ীতে কে গান গাইছে। ঘামের মধ্যে গানের সাের কানে যেতেই সে ধড়মড় করে বিছানার উপর উঠে বসলো এ কার গলা ? ওর গা শিউরে উঠলো। ঘামের ঘোর এক মহত্তে ছাটে গেল। কখনো সে ভুলবে জীবনে এ গান, এ গলা ? সেই প্রথম পরিচয়ের দিনে ওদের রোয়াকে জ্যোৎস্না-রাত্রে বসে এই গানখানাই বৌদিদি প্রথম গেয়েছিল ! সেই অপৰিব করণ সর, গানের সরের প্রতি মোচড়ে যেন একটি বিষন্ন আকাংক্ষার প্রাণঢালা আত্মনিবেদন ! এ কি আর কারো গলার-ওর কুমারী জীবনের আনন্দভরা দিনগলির কত অবসর-প্রহর যে এ কন্ঠের সরে মধ্যময় ! ও পাগলের মত। ছটে ঘরের বাইরে এসে দাঁড়ালো । রাত অনেক । কৃষ্ণাতৃতায়ার চাঁদ মাথার ওপর পৌঁছেছে। ফটফটে শরতের জ্যোৎস্নায় বাঁশিবনের তলা পযন্ত আলো হয়ে উঠেছে । ঠিক যেন তিন বছর আগেকার সেই মহান্টমীর রাত্রির মত । শান্তির মা ইতিমধ্যে জেগে উঠে বল্লেন-ও কে গান করছে রে শান্তি ? তারপর তিনিও তাড়াতাড়ি বাইরে এলেন। শ্রীপতিদের বাড়ী তো কেউ থাকে না, গান গাইবে কে ? ওদিকে মশািটর মা, মণি, বাদল সবাই জেগেছে দেখা (?|შ | প্রথমটা এরা সবাই ভয়ে বিস্ময়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল। পরে ব্যাপারটা বোঝা গেল। শ্রীপতি কখন রাতের ট্রেনে বাড়ী এসেছিল, কেউ লক্ষ্য করে নি। সে কলের গান বাজাচ্ছে। ওদের সাড়া পেয়ে সে বাইরে এসে বল্লে-আমার এক বন্ধােদর কাছ থেকে আজ চেয়ে আনলাম ওর গানখানা। মরবার কমাস