মৌরীফুল অন্ধকার তখনও ঠিক হয় নাই। মািখয্যে-বাড়ীর পিছনে বাঁশবাগানে জোনাকীর দল সাঁজ জালিবার উপক্ৰম করিতেছিল। তাল-পকুরের পাড়ে গাছের মাথায় বাদাড়ের দল কালো হইয়া ঝালিতেছে-মাঠের ধারে বাঁশবাগানের পিছনটা সন্যাস্তের শেষ-আলোয় উত্তজল। চারদিক বেশ কবিত্বপণী হইয়া আসিতেছে, এমন সময় মািখয্যেদের অন্দর-বাড়ী হইতে এক তুমলে কলরব আর হৈ-চৈ উঠিল । বন্ধ রামতন মািখয্যে শিবকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য। তিনি রোজ সন্ধ্যাবেলায় আহতি দিয়া থাকেন, এজন্য প্রায় একপোয়া খাঁটি গাওয়া। ঘি তাঁর চাই । তিনি নানা উপায়ে এই ঘি সংগ্ৰহ করিয়া ঘরে রাখিয়া দেন । অন্যদিনের মত আজও তাকের উপর একটা বাটিতে ঘি-টা ছিল, তাঁর পত্রিবধ সশীলা সেই বাটি তাকের উপর হইতে পাড়িয়া সে ঘি-টার সমস্তই দিয়া খাবার তৈয়ারী করিয়াছে ! রামতন মািখয্যে মহকুমার কোটে গিয়াছিলেন ও-পাড়ার চৌধরিীদের পক্ষে একটা মোকদ্দমায় সাক্ষ্য দিতে । বিপক্ষের উকীল তাঁকে জেরার মাখে জিজ্ঞাসা করেন-আপনি গত মে মাসে পাঁচু রায় আর তার ভাইয়ের পাঁচিলের জায়গা নিয়ে মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন না ? BBBBBBBD DDBDDDBDBDYD DBDD DBBD S উকীল পােনরায় জেরা করিয়াছিলেন-দ্য-নালির চৌধরিীদের কানসোনার মাঠের দাঙ্গার মোকদ্দমায় আপনি পলিসের দিকে সাক্ষ্য দিয়াছিলেন কি না ? রামতন মহাশয়কে ঢোঁক গিলিয়া সম্বীকার করিতে হইয়াছিল যে তিনি দিয়াছিলেন বটে । বিপক্ষের উকীল আবার প্রশন করেন-আচ্ছা, এর কিছদিন পরেই বড়তরফের স্বত্বের মামলায় আপনি বাদী পক্ষের সাক্ষী ছিলেন কি না ? কবে তিনি এ সাক্ষ্য দিয়াছিলেন, মখায্যে মহাশয় প্রথমটা তােহা মনে করিতে পারেন নাই, তারপর বিপক্ষের উকীলের পািনঃ পািনঃ কড়া প্রশেন এবং মন্সেফ বাবর ভ্ৰকুটি-মিশ্রিত দন্টির সম্মখে হতভাগ্য রামতনীর মনে পড়িয়া ছিল যে তিনি এ সাক্ষ্য দিয়াছিলেন বটে এবং এই গীত জলাই মাসে এই কোটেই তাহা তিনি দিয়া গিয়াছেন । তারপর কোটো কি ঘাঁটিয়াছিল, বিপক্ষের উকীল হাকিমের দিকে চাহিয়া রামতনার উপর কি ব্যঙ্গোন্তি করিয়াছিলেন, রামতন উকীল-আমলায় ভক্তি মন্সেফ বাবার এজলাসে হঠাৎ কিরাপে সপলিপ সষপক্ষেত্রের আবিস্কার করেন, সে-সকল উল্লেখের আর প্রয়োজন নাই। তবে মোটের উপর বলা যায়, রামতন মািখয্যে যখন বাটী আসিয়া পৌছিলেন, তখন তাঁর শরীরের ও মনের অবস্থা খবই খারাপ। কোথায় এ অবস্থায় তিনি ভাবিয়াছিলেন হাত-পা ধাইয়া ঠান্ডা
