পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প & ܓ म्भ में को । অনেক রাত্রে কিশোরী বাড়ী ফিরিয়া আসিয়া দেখিল, তাহার ঘরে খাবার ঢাকা আছে এবং সত্ৰী ঘামাইতেছে। খাবারের ঢাকা খালিয়া আহারাদি শেষ করিয়া সে শাইতে গিয়া দেখিল, স্ত্রী ঘািম-জড়ানো চক্ষে বিছানার উপর উঠিয়া বসিয়াছে। স্বামীকে দেখিয়া একটি অপ্রতিভের সরে বলিল-কখন এলে ? তা আমায় একটা ডাকলে না কেন ? কিশোরী বলিল-আর ডেকে কি হবে ? আমার কি আর হাত-পা নেই ! निहङ ऊानिन् ? হঠাৎ তাহার সন্তী রাগিয়া উঠিল-নিতে জান তো জেনো কাল থেকে আমার এখানে আর বনবে না । এ যেন হয়েছে শত্রপরীর মধ্যে বাসবাড়ীসম্বধ লোক আমার পেছনে এমন করে লেগেছে কেন শনিতে চাই । না হয়। दट्र१' w is কান্নায় ফলিয়া সে বালিশের উপর মািখ গজিল । কিশোরী দেখিল সস্ত্রী রাতদাপরের সময় গায়ে পড়িয়া ঝগড়া করিয়া একটা বিভ্ৰাট বাধাইয়া তোলে বঝি। এ রকম করিয়া আর সংসার করা চলে না-ভাত ঢাকা ছিল, খলিয়া লইয়া খাইয়াছে, ইহাতেও যদি সত্ৰী চটিয়া যায় তাহা হইলে আর পারা যায় না। কিছ না, ও একটা ছল, ঐ সামান্য সত্ৰ ধরিয়া এখনি সে একটা রাম-রাবণের যন্ধ বাধাইয়া তুলিবে। কিশোরী বলিল-যা খাঁশি কালকে কোরো, এখন একটা ঘামতে দাও । ঘামচ্ছিলে বলেই আর ডাকি নি এই তো অপরাধ ? তা বেশ, কাল থেকে ওঠাবো, চুলের নড়া ধরে ওঠাবো । সশীলা কথাও বলিল না, মািখও তুলিল না, বালিশে মািখ গজিয়া পড়িয়া aीश्ब्न । পরদিন সকালে উঠিয়া রামতন মািখয্যে শানিলেন, চৌধরিীরা খবর পাঠাইয়াছে কয়েকটি নতন সাক্ষীর তালিম দিতে হইবে । যাইবার সময় তিনি বলিলেন-ও বউমা, একটা সকাল সকাল ভাত দিয়ো, কোটো যেতে হবে । বেলা নয়টার সময় ফিরিয়া আসিয়া দেখিলেন সশীলা স্নান করিয়া আসিয়া রৌদ্রে কাপড় মেলিয়া দিতেছে, গহিণী মোক্ষদাসন্দরী রান্নাঘরে বসিয়া রধিতেছেন। স্বামীকে দেখিয়াই মোক্ষদা চৌকীদার-হাকার সরে বলিতে লাগিলেন-হয় আমি একদিকে বোয়িয়ে যাই, না হয় বাপ এর একটা বিহিত করো। সেই সকাল থেকে ঘরপাক দিয়ে দিয়ে বেড়াচ্ছে, বলছি-ও বউমা, দটো ভাত চড়িয়ে দাও, ওগো যা হয় দটো-কিছ রাঁধ-হাতে পায়ে ধরতে কেবল বাকি রেখেছি। কার কথা কে শোনে ?-এই বেলা দাপরের সময় রাগী Aqr ar G " " · সশীলা রক হইতে সমান গলায় উত্তর দিল-মাইনে-করা দাসী তো নাই, আমি যখন পারবো। তখন রান্না চড়াবো-সকাল থেকে বসে আছি নাকি ? এত খাটনি সেরে আবার আটটার মধ্যে ভাত দেবো-মানষের তো আর শরীর