পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৌরীফল Ràd কাগজ কলম তুলিয়া রাখিয়া সে স্বামীর ভাত বাড়িয়া দিল। একপ্রকার চুপচাপ অবস্থায় আহারাদি শেষ করিয়া কিশোরী গিয়া শয্যা আশ্রয় করিবার পর, সে নিজে আহারাদি করিয়া শাইতে গিয়া দেখিল কিশোরী ঘামায় নাই, গরমে। এ-পাশ ও-পাশ করিতেছে। আশায় বািক বধিয়া সে তাহার দ্বিতীয় ফাঁদটি পাতিল । —একটা গলপ বলো না ? অনেকদিন তো বল নি, বলবে লক্ষীটি • • বিবাহের পর প্রথম প্রথম কিশোরী তাহার কিশোরী স্ত্রীর নিকট বটতলায় আরব্য উপন্যাস হইতে নানা গলপ বলিত । রাত্রির পর রাত্রি তখন এ-সব গলপ শনিয়া সাশীলা মগধ হইয়া যাইত । জনহীন দেশের মধ্যে যেখানে শােধ জীন-পরীদের জগৎ • “খেজরবনের মধ্যে ঠান্ডা-জলের ফোয়ারা হইতে মণিমন্তো ংক্ষিপ্ত হইতেছে পথহীন দর্যন্ত মরপ্রান্তরে মন্ত্যু যেখানে শিকার সন্ধানে ওৎ পাতিয়া বসিয়া আছে, সমাদের ঝড়, তরণ শাহজাদাগণের দৈত্যসঙ্কুল অরণ্যের মাঝখান দিয়া নিভাঁক শিকারযাত্রা-এ-সব শানিতে শনিতে তাহার গা শিহরিয়া উঠিত, ঘাম ভাঙিলে। ঘরের মধ্যে অন্ধ রাত্রির অন্ধকার বিকটাকার জীনদেহের ভিড়ে ভরিয়া গিয়াছে মনে করিয়া ভয়ে সে স্বামীকে জড়াইয়া ধরিত। প্রাচীন যাগের তরণ শাহজাদাদের কলপনা করিতে গিয়া অজ্ঞাতসারে সে নিজের স্বামীকে যাত্রার দলের রাজার পোশাক পরাইয়া দরদেশে বিপদের মখে পাঠাইত, শাহজাদাদিগের দঃখে তাহার নিজের স্বামীর উপর সহানভীতিতেই তাহার চোখে জল আসি৩ ৷ এই রকমে গলপ শানিতে শনিতে অদশ্য নায়ক-নায়িকাদের গণ দশ্যমান গল্পকারের উপর প্রয়োগ করিয়া সে স্বামীকে প্রথম ভালোবাসে । সে আজ পাঁচ-ছয় বৎসরের কথা, কিন্তু সশীলার এখনও সে ঘোর কাটে নাই । কিশোরী স্ত্রীর কথা উড়াইয়া দিল-হ্যা, এখন গলপ বলবো । সমস্ত দিন খেটেখাটে এলাম, এখন রাতদপেরে বক-বক, করি আর কি। তোমাদের কি ? বাড়ী বসে সব পোষায় । অন্য মেয়ে হইলে চুপ করিয়া যাইত। সশীলার মেজাজ ছিল একগাঁয়ে। সে আবার বলিল-তা হোক, একটা বলো, রাত এখন তো বেশী নয়, • • --না বেশী নয়-তোমার তো রাত কম-বেশীর জ্ঞান কতা! নাও, চুপচাপ *gश °एछ 4थन् । সশীলা। এইবার জিদ ধরিল-বলো না, একটা, ছোট দেখেই না হয় বলো -এত করে বলছি, একটা কথা রাখতে পারো না ? কিশোরী বিরক্ত হইয়া বলিল-আঃ ! এ তো বড় জবালা হলো। রাতেও একটা ঘামবার যো নেই-সমস্ত দিন তো গলাবাজিতে বাড়ী সরগরম রাখবে, ब्राखिन्नागे७ gकप्ने भान्ऊि 6न्छे ? এইটাই ছিল সশীলার ব্যথার স্থান। স্বামীর মাখে একথা শনিয়া সে ক্ষেপিয়া গেল।--বেশ করি গলাবাজি করি, তাতে অসবিধা হয় আমাকে পাঠিয়ে দাও এখান থেকে। রাতদপেরে করলে কে ? নিজে আসবেন রাত