80 বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প যাইতেছে, নইলে সেও কি এমন ছিল ? মৌরীফলের বর তো কত জায়গায় বেড়ায়, মৌরীফলকে একখানা পত্র লিখিয়া দেখিলে হয়, যদি উহার কোন চাকরি করিয়া দিতে পারে। চাকরি হইলে সে আর তার স্বামী একটা আলাদা বাসায় থাকিবে, আর কেহই সেখানে থাকিবে না, মাঠের ধারের ছোট ঘরখানি সে মনের মত করিয়া সাজাইয়া রাখিবে, উঠানে কুমড়ার মাচা বাঁধবে, বাজারখবচ কমিয়া যাইবে। লোকে বলে সে গোছালো নয়, একবার বাসায় যাইলে সে দেখাইয়া দিবে যে সে গোছালো কি না । আচ্ছা, ওই বাড়ীখানায় যদি আগনি লাগে ! না-আগনি দিবে কে ? ছোট-বাউ । উহ, দিলে তাহার শাশাড়ী ঠাকরােনই দিবে, যে রকম লোক ! জানালার বাইরে জ্যোৎস্নায় ও-গলো কি ভাসিতেছে ? সেই যে তাহার স্বামী গল্প কারিত জ্যোৎস্না-রাতে পরীরা সব খেলা করিয়া বেড়ায়, তাহারা নয় তো ? • • •তাহার বিবাহের রাত্রে কেমন বাঁশী বাজিয়াছিল, কেমন সন্দের বাঁশী, ও-রকম বাঁশী নদীব ধারে কত পড়িয়া থাকে। -- আচ্ছা পিওনে মৌরীফলের একখানা চিঠি দিয়া গেল না কেন ? লাল চৌকা খাম, খাব বড়, সোনার জল দেওয়া, আতর না কি মাখানো পরদিন সকাল বেলা পত্রবধাের উঠিবার দেরি হইতে লাগিল দেখিয়া মোক্ষদা ঠাকরান। ঘরের মধ্যে উকি মারিয়া দেখিলেন, পত্রিবধ জবারের ঘোরে অঘোর অচৈতন্য অবস্থায্য ছোড়া মাদরের উপর পাড়িয়া আছে, চোখ দটি জবাফলের মত লাল সেদিন সমস্ত রাত একভাবেই কাটিয়া গেল, তাহার দিকে কেহ নজর করিল। না, তার পরদিন বেগতিক বঝিযা রামতন ডান্তার আনিলেন। দাপরের পর হইতে জবরের ঘোরে সে ভুল বকিতে লাগিল—সত্যি মৌরীফল, তা নষ, ওবা शा वळ्ळु-ऊाश ऊन्, छ्त्र সন্ধ্যার কিছু পর্বে সে মারা গেল । তাহার মাতৃত্যুতে গাঙ্গালী-পাড়ার হাড় জড়াইয়া গেল, পাড়ার কােকচিলগলাও একটা সস্থির হইল। কিছদিন পরেই কিশোরীর দ্বিতীয় পক্ষেব বউ মেঘলতা ঘরে আসিল । দেখিলে চোখ জড়ায় এমন সন্দের মেয়ে, কৰ্ম্ম পট, হশিয়ার, গোছালো। দ্বিতীয়বার বিবাহের অলপদিন পরেই যখন কিশোরী পালেদের স্টেটে ভাল চাকরিটা পাইল তখন নতেন। বউ-এর লক্ষয়ীভাগ্য দেখিয়া সকলেই খাব খাশি হইল । সংসারের অলক্ষীস্বরাপা আগের বউ-এর নাম সে পক্ষের সংসারে আর কোনদিন কেহ করে নাই ।
