পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 O বিভতিভাষণের শ্রেষ্ঠ গল্প করে পাঁচ ব্যান্নান রান্না-আমি বাড়ী হয়েচি, ওদের সংসারে সেকেলে মতের লোকের জায়গা আর হয় না। এখন-- ঘরের আড়ায় শকিনো নারকোল পাতার আটটি, পাকাটির বোঝা যোগাড় করা ছিল, বিষয়ি উননি ধরানোর কম্পট বলে সাগহিণী দ্রব ঠাকরণ যে-সময়েরযা সম্প্রচয় করে রাখতেন। কাশীবাস করতে যাচ্ছেন, পেছনটান থাকলে তীথবাস হয় না। সে সব দান করে গেলেন কতক নীঠাকরণকে, কতক একে ওকে । কনক একটা পাকা শসা হাতে এনে বল্লে—শসা খাবে ঠাকমা ? --তুই এক বোঝা পাকাটি নিয়ে যা কনকী-ঠাকমাকে মনে রাখবি তো, হ্যাঁ-রে ? কনক অনেকখানি ঘাড় নেড়ে বল্লে-হাঁ-উ-উ- ন’ঠাকরণ চোখের জল ফেললেন যাবার সময়ে । দ্রব ঠাকরণ ট্রেনে কোনোরকমে শচিতা বজায় রেখে কাশী এসে পেীছলেন । একটা গলির মধ্যে দোতলা একটা বাড়ীর নীচের তলার ঘরে কানার সেই বন্ধর মা কাশীবাস করেচেন। পাশেই আর একখানা ছোট ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে দ্রব ঠাকরণের জন্যে । অপর বন্দ্বধাটির কাছে চাবি ছিল ঘরের, তিনি চাবি খালে দিলেন। দ্রব ঠাকরণ নিজের জিনিসপত্র নিয়ে সেই ঘরে অধিস্ঠিান হলেন । দ্রুব ঠাকরণ ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সভয়ে আবিস্কার করলেন, তাঁর প্রতিবেশিনী নদে’ জেলার লোক। কথাবাত্তার ধরন ও সার শহরে ও সম্পণে মাক্তিজািত। যশোর জেলার মানষি দ্রুব ঠাকরণের ভয় পাবারই কথা বটে। তিনি এসে দ্রব ঠাকরণের ঘরে ঢাকে বল্লেন-আপনার রান্নাবান্নার ব্যবস্থা কাল থেকে করলেই হবে-আজ আমার ঘরে দািধ আর মিনিট আছে, আপনার জন্যে রাখলাম। কিনা । দ্রব ঠাকরণ ভয়ে ভয়ে বল্লেন-ও ! প্রতিবেশিনী নিজের ঘর থেকে খাবার এনে বল্লেন-আপনার লোমবাস্ত্র বার করােন দুব ঠাকরণ ভালো বঝতে না পেরে বল্লেন--কি বল্পেনা ? দুব ঠাকরণ 'বল্লেন’ এই কথায় ‘ব’-এর উচ্চারণ যশোর জেলার উচ্চারণরীতি অনযায়ী প্রসারিত উচ্চারণ, প্রতিবেশিনী বাদ্ধার উচ্চারণে এই সব স্থানের উচচারণ যতদর সম্পভব আকুঞ্চিত। “বল্লেন'-এর উচচারণ 'বোল্লেন'- 'ও'-কার-এর উচচারণও যতদর সম্পভব ঘোরালো । --বোলাঁচ, লোমবাসন্তু বের করে। পরন, একটা কিছ মখে দিতে হবে তো ? লোমবাস্ত্র কি জিনিস, পাড়াগাঁয়ের মানষে দুব ঠাকরণ কখনো শোনেন নি—তবে জিনিসটা বস্ত্রজাতীয় দ্রব্য তা বঝতে পারলেন, বল্লেন-সে তো আমার নেই । --লোমবাস্ত্র নেই ? আপনি জপ করেন। কি প’রে ?