দ্রব্যময়ীর কাশীবাস S --সেই সাদা থান প’রেই জপ করি, আর কোথায় কি পাবো ? বাড়ীখানা গলির মখে হলেও প্রায় সদর রাস্তার ওপরে। অনেক রাত পৰ্য্যন্ত গাড়ীঘোড়া রাস্তার গোলমাল থামে না । নিরিবিলি বনজঙ্গলের মধ্যে বাড়ীতে একা থাকা দ্রব ঠাকরণের চিরদিনের অভ্যাস, এত গোলমালে বড়ই অস্বস্তি বোধ করতে লাগলেন। তিনি। উঃ, কি মস্কিলেই পড়া গেল ! নাঃ, কাশীর লোক ঘমোয় কখন ? কান, তার পরদিন বন্ধর মার হাতে পল্লীবাসিনী পিতামহীকে সমাপণ করে কৰ্ম্মস্থানে চলে গেল, তার ছয়টি ফরিয়েছে। বন্ধর মার নাম নীরজাবাসিনী, দ্রব ঠাকরণের চেয়ে তাঁর বয়েস দ-পাঁচ বছর কম হবে, মাথার চুল এখনও পাকেনি-তবে সেটা সবাস্থ্যের গণেও হতে পারে । দুব ঠাকরণ এর সঙ্গে দশ শিবমেধ ঘাটে বিকেলে বেড়াতে গেলেন-খব লোকজনের ভিড়, গান, বস্তৃতা, কথকতা । এক গেরিয়া কাপড় পরা সন্নিাসির সারিপাশে খািব ভিড়, নীরজা সেখানে জােটলেন গিয়ে । কমবাদ, সেবাধক্ষম ইত্যাদি নিয়ে সন্নিসি কি সব কথা বলে যাচ্ছেন, দ্রব ঠাকরণ অতশত বৰ্ব্বতে পারলেন না । ফিরবার পথে দুব ঠাকরণ জিজ্ঞেস করলেন-উনি কেড়া । --উনি রামকৃষ্ণ মঠের একজন বড় ইয়ে-স্বামী সেবানন্দ । --কি মঠ ? -কেন, রামকৃষ্ণ মঠের কথা শোনেন নি ? ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের-মস্ত বড় কান্ড ওদের --রামি আর কৃষ্ণ দই ঠাকুরের নাম বঝি ? নীরজা বিস্ময়ে দ্রব ঠাকরণের দিকে চেয়ে বল্লেন-আপনি শ্ৰীশ্ৰীীরামকৃষ্ণ পরমহংসের নাম শোনেন নি ? -ना। 6क ऊिमि-कथे मा-aथाcन जाgछन्न ? নীরজা আর কোন কথা বল্লেন না । এমন বৰবারের সঙ্গেও তিনি বেড়াতে বেরিয়েচেন যে রামকৃষ্ণদেবের নাম পয্যন্ত জানে না ! দুব ঠাকরণের কোন দোষ নেই, তিনি আজ সেকেলে লোক, আর পল্লীগ্রাম ছেড়ে জীবনে কখনো কোথাও যান নি। গোপীনাথপরের জঙ্গলে ও-নাম কখনো কারো মাখে শোনেনও নি । তিনি জানেন রাম, কৃষ্ণ, রাধা, দাগ, লোচনাপরের জাগ্রত কালী, কালীঘাটের কালী ইত্যাদি । অত বড় নামের কোনো ঠাকুরের কথা, কই,-কেউ তো তাঁকে বলে নি । দুব ঠাকরণ ভয়ে ভয়ে থাকেন । তাঁর সঙ্গিনী তাঁকে নিতান্ত নাস্তিক, অজ্ঞ, মািখ বলে না ঠাওরান । দিন কয়েক যেতে না যেতেই দ্রব ঠাকরণ বঝে নিলেন সঙ্গিনীটি ধৰ্ম্মমবাতিকগ্রস্তা। সাধ-সন্নিাসির ভক্ত। যদি কোথাও কোন নতুন ধরনের সাধ মন্দিরে কি ঘাটে বসে আছে, তবে আর নিস্তার নেই। সেখানে বসে আমনি গরড়ের মত হাতজোড় করে বক, বক, বকুনি জড়ে দেবে। আর কি-সব কথা
