পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্রবময়ীর কাশীবাস চলো যাই । ‘সত্যি কি পবিত্ৰ স্থান, না ? ইচ্ছে হয় না যে আবার সংসারে ফিরে যাই, রাধি খাই । দুব ঠাকরণ মনে মনে বল্লেন-মরো-না এখানে শকিয়ে হত্যে দিয়ে-কে মাথার দিব্যি দিয়েছে রাঁধতে খেতে । নীরজা বল্লেন-করন্যাসটা অভ্যোস করচি, কিনা, প্রায় হয়ে এল দ্রবময়ী নীরব । মাগীটা পাগল নাকি ? কি সব বলে বোঝাও যায় না। রাত দােপর বাজালো বাবা, এখন বাসায় চল দিকি ! বাসায় এসেও কি তাই নিস্তার আছে ? নীরজা ডাকবে তার ঘর থেকে-ও দিদি, একটা গীতাপাঠ করি শোনো নিতান্ত অনিচ্ছার সঙ্গে তাঁকে যেতে হয় । গীতা-টীতা ওসব তিনি বোঝেন। না। সবচনীর ব্ৰতকথা, সত্যনারায়ণের পাঁচালী, শিবরাত্রির ব্ৰতকথা এসব শোনা তাঁর অভ্যোস আছে, বেশ দিব্যি বৰ্ব্বতেও পারেন-এসব শান্ত শক্ত কথার কি কাপড়-ম্যান্ড, এক বণও। যদি বোঝেন । আর ম্যাগীর চোখ উলেট, কান্না-কান্না মখের ভাব ক’রে পড়বার ভঙ্গিই বা কি ! দ্রব ঠাকরণ না পারেন। হাসতে, না। পারেন। হাসি চাপতে । এমন বিপদেও মানষে পড়ে গা ! নীরজা পড়তে পড়তে বলবেন-আহা-হা ! কি চমৎকার ! দুব ঠাকরণ বসে ঢািলতে ঢািলতে ভাবলেন-থামলে যে বাঁচি সকালে উঠে নীরজা বল্লেন-আজ আমার গরদেব আসবে, দিদি দ’খানা লচি ভেজে দিও তো আমার ঘরে বসে । বেলা দটোর সময় এক সন্নিসি এসে হাজির। বেশ মোটা ভুড়িওয়ালা, এই লক্ষবা দাড়ি । নীরজা সান্টাঙ্গ হয়ে প্রণাম করে দ’বার মাথা ঠাকলেন গর দেবের পাদপদ্মে । আহারাদির যোগাড় করতেই কাটলো সারাদিনতিনসের দািধ মেরে একসের হলো, ঘরে রাবাড়ি মালাই তৈরী হলো। লাচি ভাজা হলো। সন্ধ্যার সময় নীরজা বসলেন গােরর কাছে কি সব ব্রুিয়া শিখতে। আসন না মাথামগড়, তাই শিখতে ৷ যত বা এ বকে, তত বা ও বিকে । মনে হলো বঝি কানের পোকা সব বেরিয়ে যায়। গরদেব বাঙালী । রাত ন’টার পরে দুব ঠাকরণকে ডাক দিলেন । বল্লেন-তোমার বাড়ী কোথায় ? -গোপীনাথপাের, যশোর জেলা। — -কে আছে বাড়ীতে ? --নাতিরা আছে, তাদের ছেলে বেী আছে । --তুমি কাশীবাস করতে এসেচ ? 一变了1 --নাম কি ? --দ্রবময়ী দেব্যা -দীক্ষা হয়েচে ?