পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণের কাছে গ্রীষ্ম-বসতের মত বর্ষারও একটা আলাদা গন্ধ আছে। সে গন্ধ তার আশৈশবের । তারই স্মরণে লিখেছেন, ‘বর্ষাকালে বনগী থেকে বাষ্ঠী গেলে এরকম গন্ধ পেতুম-এবার তা পেয়েচি।” (অপ্ৰকাশিত faff; t. y. aere বিস্মিত না হয়ে যায় না, প্ৰকৃতির ঘরকল্পায় কোথায় কী আছে गवहे विड्रउिछ्वप्नब्र দিনলিপির পাতা থেকে সত্যি মাঝে মাকে চোখ ফেরাতে পারা যায় གསྒྱུ་མ་ মনে হয় ইন্দ্ৰিয়ে-অতীন্দ্ৰিয়ে এমন করে প্রকৃতির রূপানুরাগ থেকে ঋদ্ভাবসন্মিলন, চোখের আলোয় এমন করে ভেতরে-বাইরেকে দেখা এ•বোধ হয়, বিভূতিভূষণের মত কতিপয়েই সম্ভব । আধু দেখা নয়, ভ্রাণের রাস্তা ধরেও তিনি ঋতুরঙ্গশালায় প্রবেশাধিকার পেয়েছেন । জীবনানন্দ যে রোদের গন্ধ পেয়েছিলেন, বিভূতিভূষণও। বর্ষার প্রকৃতিকে চেনেন। ইছামতীর বন্যপ্ৰান্তে সেই রোদের গন্ধ দিয়ে । চালিতেপোতার বঁাক থেকে ভারাক্রান্ত শ্রাবণের উঠে আসা, গাঙের ঘোলা জলে ঢলনামা, জলের বারে পাড় ভেঙে পড়া এসব তো আছেই । ‘গাঙের ঘোলা জলে ঢল নেমেচে । • • •সেঁয়াকুল কঁাটার ঝোপটা জলের ধারে পাড় ভেঙে পড়ে গিয়েচে-সে দৃশ্যের তুলনা নেই। বড়লোকদের বাড়ীর অন্ত লেস ঝোলানো পর্দার চেয়ে কত ভাল লাগে এটা দেখতে, (অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ৯, ৮, ১৯৪৩ ) “কি অপরূপ নীলকৃষ্ণ ঘন মেঘরাশি । চালিতেপোতার সাকোয় দিক থেকে উড়ে এল। তারপর ঝমােঝম বৃষ্টি ও হাওয়া। -এই ধরণের ঝড়বৃষ্টির অভিজ্ঞতা না থাকলে কখনো তার কথা লেখা যায় না।” (অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ৩.৭-১৯৩৩) “এ কদিনে আকাশের রং অপূর্ব নীল-ঠিক যেন শরৎ পড়ে গেছে-মাটী শুকনো খটখট-এমন চমৎকার বর্ষা ঋতুর দৃশ্য অনেকদিন দেখিনি-রৌদ্রের গন্ধ ইছামতীর তীরের বন্যপ্ৰান্তে বসে ঘোলাজলের দিকে চেয়ে চেয়ে যদি অনুভব কর্তে পারি।--তবেই ছুটটি সার্থক হবে।” ( অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ২৮,৭,১৯৩৩) তবু বিভূতিভূষণের কাছে প্ৰকৃতি শেষ পর্যন্ত শুধুই প্ৰকৃতি নয়, আরও একপ্ৰকৃতির ভাষা” সে। তার দিনলিপি-উপন্যাসে কতবার তিনি বলেছেন, গাছপালা, ফুলফল, আলোছায়া এ সব কিছুর সঙ্গে আমাদের আশৈশব সম্পর্কের ফলে পৃথিবীয় যে གྲྭས་ཚེ། 'spiritual nature' wits, eifss citat fiftys রূপ আছে সেটা আমরা কিছুতেই বুঝতে পারি না। s