পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘এবার বনগাঁয়ে এসে সেই গাছপালার অপূর্ব dedicious সুগন্ধটা পাচ্ছি। শু সপ্তাহে পাইনি। কাত্তিকের মাঝামাঝিই ও গন্ধটা পাওয়া যাবে।” '(अर्थकांत्रिंङ निब्रिनेि २१. ७०. ७०७७) “এই সময়ে মরচের ফুল ফোটে-এবং এই সময়ের গন্ধটা মরচে ফুলের সম্প্রতি আবিষ্কার করেচি। মাখন সিমেয় গোলাপী দলগুলি ঘন সবুজ পাতার আড়ালে দেখা যাচ্চে-কোয়োকাকার ফুলে কেমন একটা মিষ্টি গন্ধ।” (অপ্ৰकांऊि निविoि s, ss. sae8 ) “প্ৰকৃতির মধ্যে বাস-বেশ লাগে আমার M#कॉटन बांधॊौ cभक्षानन्न बन দেখে মনে হোল পয়সা খরচ করে। ট্রপিক্যাির্সফিল্ম দেখতে to estic বাবার দরকার নেই-এই তো ট্রপিক্যাল ফরেষ্ট। --এর চেয়ে বন নাগপুরে গভীর নয়।-বৈকালে বারাকপুরে ইছামতী নদীর ধারে একটা নৌকার উপর বসে রইলুম। রোদ রাঙা হয়ে গেছে, একটা নিস্তব্ধতা-silence of the jungle-বেড়ে সুন্দর।” ( অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ১৯, ১১, ১৯৩৩) ৷ বিভূতিভূষণের দিনলিপিতে শীতের গন্ধ নেই, কিন্তু স্বভাব আছে। সে স্বভাব বিষন্ন, নির্জন। সন্ধ্যায় বঁাশবনের নিন্তব্ধতায় যে শীতকে তিনি প্ৰত্যক্ষ করেছেন, তাকেই তিনি অনুভব করেছেন স্বগ্রামের অন্ধকার রঙ্গমঞ্চে । বারাকপুর আজ শ্মশান, কেউ নেই। পৃথিবীতে শীত এসেছে। তবু বিভূতিভূষণ তো জীবনানন্দের মত শীতের কবি নন। তিনি বিশ্বাস করেন, এটুকু শেষ নয়, এখানে আরম্ভও নয়।* ইছামতীতেও তাই । সেখানেও লিখেছেন, জলের স্রোতে নতুন ইতিহাস লেখা হবে কালের বুকে । তবু শীতের বিষগ্নতার মানে আছে। সে মানে চিরবিসন্তের দোরগোড়ার কাছে আসা। সৌন্দর্যের কথায় শেলি বলেছিলেন, রহস্যবশতঃই সে প্রিয়তরঙ্গ, জীবনের কথায় বিভূতিভূষণও বলতে পারতেন, বিষন্নতাবশতঃই সে গভীরতর। শীত সেই বিষন্ন গভীরতারই ঋতু । “নিস্তব্ধ অন্ধকার বঁাশবন । কালো বঁাশঝাড়ের পটভূমিতে প্ৰজাপতি উড়চেজনপ্ৰাণী নেই কোথায়। শীতের জনহীন, বিষন্ন • সন্ধ্যা। আজও বনভূমি সেই শৈশব স্বপ্নমাখা-অথচ রঙ্গমঞ্চ অন্ধকার, বারাকপুর আজ শ্মশান-কেউ নেইসব পালিয়েছে। স্বপ্ন স্বপ্নই আছে এখনও-তেমনই নবীন, তেমনই মোহময়।-- ১. অপরাজিত, ২৬ পরিচ্ছেদ, পৃঃ ৩৯৯ ৷৷ ২, ইছামতী, ৪র্থ মুদ্রণ, পৃঃ ২৬৭। 9 Hymn to Intellectual Beauty S.