পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBBDBDBD BiB DBDBBDBD DD BDB D BDDSDBDzY S LLLLLCLLL LL LLLLLL পৰ্যন্ত দেখা যায় এখানে এলে।” (অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ৩০.১২-১৯৩৩) এই হচ্ছে বিভিন্ন ঋতুতে তার গ্রাম-গ্ৰাম্য প্রকৃতি। কিন্তু সারাণ্ডাঘাটশিলার আরণ্য প্রকৃতিতে এসব ঋতু কিরকম ? সেখানেও কি শীত অমন, depth of being fact atti f <f vital air soft colour scheme-ra জলের গন্ধে গ্রীষ্ম আসে ? ওঁৰ টুফুলের কটুতিক্ত ক্ষুদ্ৰাণে বসন্ত ? অবশ্ন অরণ্য বলেই ‘ত্রার্মনিতে তা হবার নয়। কারণ একটা বন-বাদােড়আর একটা অরণ্য। একটা dood, আর একটা forest । ঋতুতে ঋতুতে দুটাে প্রকৃতির ছবি আলাদা তো হবেই। যদিও মূলে তারা উভয়েই শান্ত-- রসাম্পদ। তবু তার মধ্যে একটা পার্থক্য, একটা স্বাগত ভেদ চোখে পড়ে। এই রূপের ফারাক পথের পাঁচালী, ইছামতীর গ্রামপ্রকৃতির সঙ্গে অপরাজিত, অরণ্যকের আরণ্য প্ৰকৃতির । দিনলিপিতেও এর কোন ব্যতিক্ৰম ঘটেনি । আগেই বলা হয়েছে, বিভূতিভূষণের সাহিত্যে প্ৰকৃতি তো নিছক প্রকৃতিই a, qTrst spiritual natures ztt i ħ f’AJ, FÈ ONIfigetJssfRS উভয়ই এক অন্তনিহিত আধ্যাত্মিক প্ৰকৃতিরই প্ৰশস্ত দরজা। দুই প্ৰকৃতিই শেষ পৰ্যন্ত এক ভাগবতী অনুভবে মানুষকে নিয়ে যায়। যেখানে বিশ্বের অধিদেবতা এক হয়েও বিচিত্র, বিবিধ । ঘেটুফুলের গন্ধ, ঝোপে ঝোপে বনকলমী ফুল, ইছামতীর নদীজলে সূৰ্যাস্তের আভা, বৌ-কথা-কও পাখির ডাক, দূর আকাশের নক্ষত্ৰ-গ্ৰাম বাঙলার এইসব ছবি-গান-গন্ধ বিভূতিভূষণকে যে দেবতার সামনে এনে দাড় করায় তিনি লোকে-লোকাস্তে পরিব্যাপ্ত হয়েও বড়ো ঘরোয়, বিশ্বের কারণ হয়েও মানুষেরই পিতার মত সন্তানকাতর, স্নেহে অসহায় । ‘ঘেটুফুলের বনে---এমন সুন্দর লাগে। বাবা যখন অক্ষম হয়, তখন যেমন ছেলেদের জন্যে খেলাঘরের পুতুল করে দেয়, ভগবান যেন অক্ষম বাবা, সামান্য ঘেটুফুল করে রেখেচেন-একা থাকেন, কেউ তিরস্কার করলে কেঁদে ফেলেন। অন্তত তিনি, সবই পারেন তো । মোহ হয় তার জন্যে।” ( অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ১, ৩, ৪৫ ) কিন্তু অরণ্যে সেই দেবতার রূপই ভিন্ন। সারাণ্ডা-ঘাটশিলার উচু নীচু প্ৰান্তর, অনাবৃত পাহাড়ের দেহ ভঙ্গি, শালমঞ্জরীর স্ববাস, বন্য জন্তুজানোয়ার আধুষিত অঞ্চল, জনহীন জ্যোৎস্নালোকিত বনভূমি-অরণ্য প্ৰকৃতির এইসব ‘বিশাল ছবির রান্তা ধরে যে দেবতার কাছে গিয়ে বিভূতি ye