পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তো অরণ্যের রোজনামচায় গ্রীষ্ম এবং বর্ষ উভয়ই অনুপস্থিত। আসলে এর পেছনে কতকগুলো কারণও আছে। প্রথমতঃ, ঘটনাগত ভাবে বিভূতিভূষণ এই দুই ঋতুর অধিকাংশ সময়ই হয় বারাকপুর নয় কলকাতায় কাটিয়েছেন। দ্বিতীয়তঃ, অরণ্যে ঘোরারুপক্ষে গ্রীষ্ম বা বর্ষা কোনটাই খুব অনুকুল নয়, এটাই স্বাভাবিক। তবু স্মৃতির রেখায় আমরা দু চারটে পাতা পাই তার কারণ ১৯২৮ পৰ্যন্ত ভাগলপুরে দিরা-ইসমৗলগুরের জঙ্গলমহাল ছিল তার কর্মস্থল। সেখানে তাকে থাকতে হয়েছে। সেই বাস্তু পটভূমিতেই আরণ্যকের সৃষ্টি-গ্রীষ্মের ও বর্ষার জায়গা । সেখানেও, গ্রীষ্ম যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত এবং বর্ষা অনেকটাই স্নিগ্ধ । অথচ অরণ্যে এই দুই ঋতুর একটা ভয়াবহ ও আদিম রূপ আছে। বিভূতিভূষণের স্বভাব থেকে এ দুটোই খুব দূরে ছিল। সাহিত্যে-দিনলিপিতে এই দুই ঋতুর অনুপস্থিতির এটা একটা বড় কারণ। শরতে সেই অরণ্যকে বিভূতিভূষণ চিনেছেন মেঘ ও রৌদ্রের খেলায়। কিন্তু সমস্তই অরণ্যের রিরাটিত্বে সমাপিত। তঁার ভাষায় soft নয়, majestic । ‘সূর্যালোকে ধারণী হাসচে-মুক্ত শালবন ও ধানক্ষেতে সবুজের মধ্যে বসে বৃষ্টি এল---” (অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ১৮, ৯, ১৯৪৩ ) ‘পাহাড়ের hিedge এ বসে লিখচি, মাথায় মাথায় রাঙা রোদ, কালাবোরের মাথায় মেঘের সাদা বাষ্প আবার রোদ-সেই চেরা পথটা দেখা যাচে ।... পাহাড়ের শৈলমালায় কি чеf panorama. Ga roof of the world এ বসে আছি- এত উচু। রোদ এবার সিদ্ধেশ্বরী ডুংরির মাথাতেও siya, f vast majesty' (westfi's fafft St. So, ye so) সেখানেই হেমন্তের আবির্ভাব। বিভূতিভূষণ তাকে সকালের শিশিরে, আসন্ন শীতের ঠাণ্ডা বাতাসে, পর্বতশিখরের ঈষৎ কুয়াশায় চিনেছেন। uBDDDDSSBBBB DBDuuDBDBB gBuuDuggSD D Ku DgL BD সকালের শিশিরশিক্ত, পাখী ডাকচে, বনমধ্যে ঝর্ণার কুলুকুলু তান সব সময় কানে আসচে।• • • বহু গাছ, একটা নটরাজের মত নৃত্যশীল ভঙ্গীতে শাখা বাহু বিস্তার করে দাড়িয়ে আছে সামনের পাহাড়ের পটভূমিতে-নির্জন নিন্তব্ধ বনভূমি- বসে আছি, আর শুনছি। অসংখ্য বনবিহঙ্গের কলতান। টুং টুং টুং টুং •••একটা পাখী ডাকচে বনে। একটা টিয়ার মত ডাকচে ।--শিশির সিক্ত বনস্থলীতে বনবিহঙ্গের এ কলগীতি এ অঞ্চলেও দুর্লভ • ঠাণ্ডা হাওয়া বইচে । ঈষৎ কুয়াশা লেগে আছে বঁাদিকের পর্বতশিখরে।” (অপ্ৰকাশিত o