পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুনীতিবাবুর সঙ্গে পাঞ্জালড়া-সব আছে। আর তারই ফঁাকে বিশ্বের বিশালতার কাছে নিজেকে কখন ভেকে নিয়ে যাওয়া । “মুজাপুরের এখানে এলেই মনটা নূতন হয়ে যায়-এতটা ফাকা জায়গায় একটা নতুন অনুভূতি হয়।” (অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ১৮, ৬, ১৯৩৩) ‘আজ কলকাতা ষোল্লু নতুন চােখে দেখলুম। ১৮১৯ বছরের কত স্মৃতি এর সঙ্গে জড়ানো । এত পালো, এত পরিচ্ছন্নতা-কালীপূজার জের এখনও মেটেনি-হাউই তুবড়ী এখনও ফুটচে-বড় ভাল লাগল। এই সময়টা কত বৎসর ধরে একা enjoy করে এএমচি কলকাতায়। যখন ছাতিম ফুল ফুটত তখন। কত রাত পৰ্যন্ত বারান্দায় অবাক হয়ে বসে রইলুম।” (অপ্ৰকাশিত দিনলিপি - aе. У е. узео ) ‘কলকাতা এত ভাল লাগেনি আর কখনও। একে এবার যেন নতুন দেখচি। ---ধৰ্মতলা স্ত্রীটের মোড়ে যখন গিয়েচি, সন্ধ্যা হোল। ট্রামে লাল সবুজ আলো জালিয়ে চে-ট্রাফিকের ভিড়, অনৈকক্ষণ দাড়িয়ে দেখলুম -এত সুন্দর এত সজীব । এত বিরাট মনে হতে লাগল ugly কলকাতা সহরকে । ( অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ২১, ১০, ১৯৩৩) ‘কলকাতার জীবনটা কাটে একটা কাজ কর্ম ও engagement এর ঘূর্ণাপাকের মধ্যে। পাড়াগায়ের dull life নয়। জীবনের অভিজ্ঞতাও তাই এখানে বেড়ে চলে।” ( অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ২৫, ১০, ১৯৩৩) ‘নক্ষত্রগুলোর দিকে চেয়ে আজ বড় অপূর্ব আনন্দ হোল।" - এখানে মনটা ভারী active থাকে। কিন্তু। কলকাতা এখন বেশ লাগিচে। (অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ৯, ১১. ১৯৩৩ ) “বেহালা। পথে মুচুকুন্দ ফুলের গাছে এখনও ফুল যথেষ্ট-তবে শুকিয়ে এসেছে। বিজয়মজিলের সেই গাছটা দেখতে বড় সুন্দর-একেবারে গোড়া থেকে ফুল হয়েচে ।” (অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ১০, ৪, ১৯৩৩) “বেরিয়ে ভাৎলুম বন্ধগ্ৰীতে যাবো। পথে হরেকৃষ্ণ বাবুর সঙ্গে দেখা। হরেকৃষ্ণ বাবু বল্পেন সেখানে কেন আর যাবেন, খুব খাওয়া দাওয়া হোল জন্মাষ্টমী উপলক্ষে -আমি সেখান থেকে আসচি-সব শেষ হয়ে গেলফুটপাতে বসে পড়লুম।” ( অপ্রকাশিত দিনলিপি ১২, ৮, ১৯৩৩) ‘সাহিত্যক্ষেত্রে পরস্পর যে হিংসা, দ্বেষ, সংকীর্ণতা দেখতে পাই আজকাল ওতে আমার মন আর সায় দিচ্চে না । এক্ষেত্রে ক্রমেই কলকাতাতেই অতি