পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের এই প্ৰয়াসের ও সিদ্ধির পাশে দিনলিপি তার রচয়িতারই এক অনায়াস সিদ্ধি, নিজেরই অজ্ঞাতে এক মায়ারাজ্যেরই রচনা । যদিও সে রাজ্য সর্বব্যাপী নয়, ইতস্তত: ; প্ৰবন্ধ নয়, প্ৰকীর্ণ। ঈশ্বরে, প্ৰকৃতিতে, ভালোবাসায় বিভূতিভূষণের দিনলিপূির্ণত এই মায়ারাজ্যেরই রচনা। স্বপ্নোখিতেরই গান। সহসা, অনিয়মিত । এবং পাঠকেরও আড়ি পাতা । শেষ পৰ্যন্ত সেই পাঠকের ५qद९ cनथर कब्र भिश्लम । f{Re সাহিত্যিক সার্থকতা । ‘রাত ১১৷• টা। দ্বিতীয়া ১ ঘণ্ডতিপির। ঘন অরণ্যের মধ্যে বসে লিখচি এক ঝর্ণার ধারে ; সামনে পাষাকুম, ১ড়ার মধ্যে দিয়ে কুইনা নদী ক্ষুদ্র একটি জলপ্ৰপাতের সৃষ্টি করে কুলুকুলু শব্দে পায়ে চলেচে। ঝরঝর অবিশ্ৰান্ত চলমান কুইনা নদীর শ্ৰোতোধারার শব্দ গভীর রাত্রে সারাণ্ড) অরণ্যের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করছে। কে এসেচে। এমন গভীর রাত্রে এখানে, কে এর অবর্ণনীয় রহস্যময় শোভা দেখেচে ? অথচ লক্ষ লক্ষ বৎসর ধরে এই চাদ এমনি উঠেচে, এই অরণ্য তার সমস্ত শোভা দিয়ে হাজার হাজার এমনি গভীর নিশীথে চন্দ্রালোকে এমনি অপূর্ব রহস্যময় শোভা দেখাতো- আজি ধার কৃপায় এখানে এসেচি, তিনি কোথায় ধেন আজি নবীন কিশোরের রূপে ছেলেমানুষের মত সলজ্জ সপ্রতিভা নিবেদনে একপাশে দাড়িয়ে তার হাতের সৃষ্টি কেমন লাগে আমাদের, শুনবার আশায় উদগ্রীব, উন্মুখ। জয় হোক তার, সে অদৃশ্য অধিদেবতার। গাছের ফঁাকে চাদ উঠোঁচে, ঘন বনের মধ্যে ক্ষুদ্র কুইনা নদীর ৬০ ৭ • হাত চওড়া পাষাণময় চড়ায় চাদের আলো পড়েচে • • • • • • । জ্যোৎস্না ফুটেচে আরও-রাত ১টা । আলোছায়ায় কি অদ্ভুত মায়ারূপ বনে । এইসব গভীর বনের পার্বত্য নদী দ্বারা তৈরি সরোবরে দেবকীন্তারা বোধ হয় নামেন স্নান ও জলকেলির জন্যে, ইতর দৃষ্টির অন্তরালে। লক্ষ অতীত যুগের অতীত জলাকলতানে এখানে কথা কইচে। --মৌন অরণ্য নিশীথ রাত্রে আদিম যুগের স্বপ্নে বিভোর। ভাষা আছে। এ বর্ণনার।’ ( অপ্ৰকাশিত দিনলিপি ১৪, ১১, ১৯৪৩ ) “অদ্ভুত শরতের দিনের মত রৌদ্র। নীল আকাশ। আজ বনে বনে যেন DBDDDB DBD DDDB BDEtBDB zDK DBDDDDDS BDDY DBBB BDDB YS মনে হয় শুধু বনে বনে বেড়াই ! যেন কতকাল আগে এই সব বনের নিভৃত ছায়ায় বনের পরী হয়ে ঘুরে বেড়াতুম। --অন্য কোন জন্মে। তারই স্মৃতি আমায় আজও উদ্বেল করে তোলে।” ( অপ্রকাশিত দিনলিপি ১৬, ৮, ১৯৪৩ ) iD DDB BD Y DBDSB BDDDDuBDB BD BBD DDBSB DDDB DBD