পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

نه لري দিনলিপির অধিকাংশ মানুষই কে যে কোথায় কোন জনতায় বা নির্জনতায় চিরতরে মিশে গেছেন। তঁদের সংবাদ-সংগ্ৰহ সত্যিই একপ্ৰকার সাধ্যাতীত ব্যাপার। সেই অসাধ্য সাধন করেছেন একদিকে বারাষ্ণুপুর-গােপালনগর-বনগার অপরদিকে ঘাটশিলা-সারাণ্ডার অসংখ্য মানুষ । লেখাই বাহুল্য, বিভূতিভূষণের জীবনে দুটি বািধন ছিল—এক তার বনগাঁবারাকপুরের বাড়ি আর র্তার সিংস্কৃমি ঘাটশিল্পী बांख्रि : ५१ छांसृ] कळकांऊांध्र ছিল তার মেস এবং কর্মস্থল। এই তিন অঞ্চলের মানুষেরা ব্যক্তিপরিচিতির ব্যাপারে আমায় প্রাণভরে সাহায্য করেছেন। বনগ্রা-বারাকপুর ব্যাপারে তো বিশেষ করে ভুলতে পারি না বনগা স্কুলের শিক্ষক বিশ্বরঞ্জন সেনগুপ্তের কথা । বিভূতিভূষণের ওপর এর একটি সুখপাঠ্য গ্ৰন্থও আছে ; নিঃসঙ্গ আরণ্যক বিভূতিভূষণ। ইনি ব্যক্তিপরিচিতি, ধনগা স্কুলের বিভূতিভূষণ পড়াকালীন ছবি এসব দিয়ে তো সাহায্য করেইছেন, আরও বিস্ময়কর, অযাচিতভাবে বিভূতিভূষণের একটি অপ্ৰকাশিত দিনলিপি উদ্ধার করে আমার বাড়ি বয়ে দিয়ে। গেছেন । এর সহযোগিতা এবং মহত্ত্বকে আমি অন্তরে অন্তরে প্রণাম জানাই । ব্যক্তিপরিচিতির ব্যাপারে আমায় আরও সাহায্য করেছেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ( “মিতে’), তার সন্তান ড. সলিলভূষণ মুখোপাধ্যায় ( বলু), ড. প্ৰসাদ চট্টোপাধ্যায়, প্ৰসাদ মুখোপাধ্যায়, পতিতপাবন চট্টোপাধ্যায়, সুনীলকুমার চট্টোপাধ্যায় (সন্তু), অন্নপূর্ণ গোস্বামী, যমুনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফেলুগোপাল চট্টোপাধ্যায়, শচীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, উমা বন্দ্যোপাধ্যায়, সরোজ চট্টোপাধ্যায় ( পাথুরিয়াঘাটা), সুবোধ ঘোষ (দিল্লী ), কৃষ্ণধন দে, গিরিজাপতি ভট্টাচাৰ্য, পশুপতি ভট্টাচাৰ্য, নীরদচন্দ্ৰ চৌধুরী, অমিয়া চৌধুরী, নীরদ রঞ্জন দাশগুপ্ত, সুবর্ণবালা দাশগুপ্ত, পরিমল গোস্বামী, মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, সুপ্ৰভা চৌধুরী, লীলা মজুমদার, মণীন্দ্রলাল বসু ও পারলামেন্টের প্রাক্তন আণ্ডার সেক্রেটারী মহিমারঞ্জন ভট্টাচাৰ্য। বিশেষ করে এই শেষোক্ত জনটি ছিলেন বিভূতিভূষণের কলকাতার স্থানীয় সংবাদদাতা। বাড়িও ছিল। বিভূতিভূষণের মির্জাপুরের মেসবাড়ির কাছে আমহাস্ট ষ্ট্রটে । মেসে, নয় পুটরামের দোকানে, নয় রকে বসত সকালে-বিকেলে বিরাট আড়ার আসয় । মহিমারঞ্জন কৌতুক করে বলতেন, Paradise Lodge (মেসবাড়ির নাম ছিল), না Paradise Lost ? তিনি এই গ্রন্থে কত অসংখ্য সংবাদ যে সরবরাহ করেছেন। তার ইয়াত্তা নেই। আজিজ্ঞাসিত হয়েও মনে পড়েছে বলে বহু সংবাদ তিনি নিজে